ইংল্যান্ডের নেতৃত্ব ছাড়ছেন বিশ্বকাপজয়ী মরগ্যান

|

ছবি: সংগৃহীত

২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো এউইন মরগ্যানের নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড। সময়ের বিবর্তনে পাল্টেছে চিত্র। ইংল্যান্ডের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম এবং ইএসপিএন ক্রিকইনফো বলছে, সাদা বলের ক্রিকেটে ইংলিশদের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে যাচ্ছেন মরগ্যান। সেই সাথে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকেও তিনি অবসরের ঘোষণা দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

লম্বা সময় ধরে হাসছে না ব্যাট। পারফরমেন্সে ভাটার সাথে পেশির টানও তাকে ভালোই ভোগাচ্ছে। এউইন মরগ্যানের ফর্মহীনতা তাই আলোচনায় অনেক দিন ধরে। ইংল্যান্ডের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে ভারী হয়েছে গুঞ্জনের হাওয়া। অনেকেই আবার দেখতে পাচ্ছেন মরগ্যানের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের সমাপ্তি। সম্প্রতি ইংল্যান্ডের ওয়ানডে অধিনায়ক জানিয়েছিলেন, অবদান রাখতে না পারলে সরে দাঁড়াবেন নিজ থেকেই। ডাচদের হোয়াইটওয়াশ করে ওয়ানডে সিরিজ জিতলেও বিবর্ণ ছিলেন মরগ্যান। প্রথম দুই ম্যাচে আউট হয়েছেন শূন্য রানে। আর তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ খেলতে পারেননি কুঁচকির চোটের কারণে। ওয়ানডেতে সবশেষ ৫ ইনিংসে ২৫.৭৫ গড়ে ১০৩ রান করেছেন ২০১৯ বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়ক। একমাত্র অর্ধশতক এসেছে এই সংস্করণ থেকেই। আর টি-টোয়েন্টিতে ৪৩ ইনিংসে ১৭.৮৬ গড়ে তার ৬৪৩।

বর্তমান ইংল্যান্ড দলে প্রবল প্রতিযোগিতায় প্রশ্ন উঠছে মরগ্যানের জায়গা নিয়ে। পেশির চোট বারবার হানা দেয়ায় স্বস্তিতে নেই এই ক্রিকেটার। ভারতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত টিকবেন কিনা, তা নিয়েও দীর্ঘ হচ্ছে সংশয়। তাছাড়া আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মরগ্যান খেললে জায়গা হারাতে পারেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা লিয়াম লিভিংস্টোন। পাওয়ার হিটিংয়ে জস বাটলারকেও দর্শক বানিয়ে ফেলার দক্ষতাসম্পন্ন লিভিংস্টোনকে জায়গা ছেড়ে দিতেও এমন সিদ্ধান্তে নিয়ে থাকতে পারেন মরগ্যান, এমন কথাও শোনা যাচ্ছে।

বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ইংলিশ অলরাউন্ডার মইন আলি বলেন, মরগ্যানের হয়তো মনে হচ্ছে তার যা দেয়ার সে দিয়ে ফেলেছে। এখনও তার ভাবনায় সবার আগে আসে দল। এমন দল অন্তঃপ্রাণ অধিনায়ক খুব বেশি হয় না। সে দারুণভাবেই কাজ করেছে। আর অধিনায়ক হিসেবে তার চেয়ে ভালো কাউকে পাওয়ার কথা আমরা ভাবতেই পারি না। তার চলে যাওয়ার খবরে অবাক হয়েছি আবার হইনি। তার মতো নিঃস্বার্থ ক্রিকেটার খুবই দুর্লভ। সে জানে, কীভাবে এমন আসর জয় করতে হয়। তাকে ছাড়া আমাদের দল এখনও অসম্পূর্ণ। তবে আমাদের মানিয়ে নিতে হবে।

মরগ্যানের খারাপ সময়ে সতীর্থদের পাশাপাশি তিনি সমর্থন পাচ্ছেন ইংল্যান্ডের টেস্ট দলের কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামেরও। কিউই গ্রেট জানান, আজকের আগ্রাসী ইংলিশদের প্রত্যাবর্তনে মরগ্যানের ভূমিকার কথা।

ক্যারিয়ারের শুরুটা জন্মভূমি আয়ারল্যান্ডের হয়ে করলেও পরে ২০০৯ সালে বেছে নেন ইংল্যান্ডকে। আর ২০১৪ সালে পাকাপাকিভাবে মরগ্যান পেয়ে যান ইংলিশদের ওয়ানডে দলের দায়িত্ব।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে কখনোই টেস্ট সংস্কৃতি ছিল না: সাকিব

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply