ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা লিজা গত রোববার (২৬ জুন) তার অফিসিয়াল ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এক অসহায় বৃদ্ধার পরিচয় জানতে চেয়ে একটি পোস্ট দেন। তিনি তার পোস্টে ওই নারীর ছবি দিয়ে তার পরিচয় জানতে চান। সেই পোস্ট থেকেই জানা গেলো নারীর পরিচয়।
মূলত বাক প্রতিবন্ধী হওয়ায় ওই নারী তার ঠিকানা জানাতে পারছিলেন না। অনাহারে থেকে তিনি শারীরিকভাবেও দুর্বল হয়ে পড়েন। পরে নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে উপজেলা সমাজসেবা দফতর থেকে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা ও ওষুধের ব্যবস্থা করা হয়। সার্বক্ষণিক দেখভালের জন্য একজন নারীকে রাখা হয়।
এদিকে, ফেসবুকের স্ট্যাটাসের মাধ্যমে ওই বৃদ্ধার বোন শৈলকুপা উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের মোকন মিয়ার স্ত্রী তহমিনা তাকে চিনতে পারেন। মঙ্গলবার (২৮ জুন) বিকালে নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে অপর বোন রঘুনন্দনপুর গ্রামের নিলুফাকে সাথে নিয়ে উপস্থিত হয়ে তাদের পরিচয় দেন।
স্বজনরা জানান, এক সপ্তাহ আগে তার বোন রিনা (৬২) নিখোঁজ হন। তার একটি প্রতিবন্ধী সন্তান আছে, তবে বর্তমানে তার কোনো সন্ধান নেই। তার দেখাশোনার কেউ নেই বলে মনোহরপুর গ্রামে বোন তহমিনার বাড়িতে তিনি থাকেন রিনা। এক সপ্তাহ আগে সেখান থেকে নিখোঁজ হন তিনি। অনেক খোঁজাখুজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। অবশেষে প্রতিবেশী একজন ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পেরে তাকে জানান। পরে পরিচয় নিশ্চিত হয়ে তাদের হাতে তুলে দেয়া হয় ওই বৃদ্ধা নারীকে।
বৃদ্ধাকে স্বজনদের কাছে তুলে দেয়ার সময় উপজেলা সমাজসেবা দফতরের পক্ষ থেকে ঐ বৃদ্ধার জন্য সকল ওষুধ কিনে দেয়া হয়। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা শরিফউদ্দিন, শৈলকুপা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম হাসান মুসা, সাধারণ সম্পাদক শাহীন আক্তার পলাশ প্রমুখ।
এসজেড/
Leave a reply