নড়াইলে অধ্যক্ষ লাঞ্ছিতের মামলার অন্যতম আসামি রহমত উল্লাহ রনিকে খুলনার বয়রা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ওসি শওকত কবির। এদিকে মির্জাপুর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে লাঞ্ছিতসহ সহিংসতার মামলায় বুধবার দুপুরের আগে গ্রেফতারকৃত ৩ জনের বিরুদ্ধে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। আগামী ৩ জুলাই আবেদনের শুনানি হবে।
সদর থানার ওসি শওকত কবির জানান, ভিডিও ফুটেজ দেখে মামলার আসামিদের শনাক্ত করা হয়েছে। প্রযুক্তির সহায়তায় বুধবার রাতে এই মামলার অন্যতম আসামি রহমত উল্লাহ রনিকে খুলনার বয়রা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে এই মামলায় মোট ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বাকি আসামিদের আটকে পুলিশের একাধিক টিম অভিযানে আছে। এদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মাহমুদুর রহমান জানান, মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত, শিক্ষকদের ৩টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়া এবং পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার ঘটনায় গত ২৭ জুন রাতে পুলিশ বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের এবং ওই রাতেই ৩ জনকে গেফতার করে। মামলায় গ্রেফতার হওয়া ৩ জনের বিরুদ্ধে আজ আদালতে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। আগামী ৩ জুলাই শুনানির তারিখ দিয়েছে আদালত।
প্রসঙ্গত, মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র রাহুল দেব রায় নিজের ফেসবুক আইডিতে নূপুর শর্মার ছবি দিয়ে মন্তব্য করেন, ‘প্রণাম নিও বস নূপুর শর্মা, জয় শ্রী রাম’। গত ১৮ জুন রাহুল কলেজে আসার পর তার সহপাঠীরা বিষয়টি কলেজ অধ্যক্ষকে জানালে তিনি উপস্থিত শিক্ষকদের পরামর্শক্রমে রাহুলকে স্থানীয় বিছালী পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার চেষ্টা করেন। এরই মধ্যে শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা বিক্ষুদ্ধ হয়ে ক্যাম্পসে শিক্ষকদের ৩টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে ফেলে। একপর্যায়ে পুলিশের লাঠিচার্জ ও এলাকাবাসীর ইটপাটকেল নিক্ষেপে কলেজ শিক্ষক, পুলিশসহ ১২ জন আহত হয়। বিকেলে পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার বিশ্বাসসহ অন্যান্য উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং এ সময় অভিযুক্ত রাহুলকে পুলিশ আটক করে পরদিন তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে।
/এডব্লিউ
Leave a reply