ইউক্রেন যুদ্ধ এবং করোনা সংকটের কারণে বিশ্বজুড়ে চাহিদা বেড়েছে ব্যাংক নোট বা কাগুজে মুদ্রার। নোট তৈরি এবং টাকশালের জন্য যন্ত্রাংশ তৈরির প্রতিষ্ঠান কোয়েনিগ অ্যান্ড বয়ার বলছে, ইউক্রেন সংঘাত শুরুর পর কয়েকগুণ বেড়েছে নোট ছাপানোর পরিমাণ। বিশ্বের প্রায় ৯০ শতাংশ দেশের টাকশালের সাথে সম্পৃক্ত সুইস এই প্রতিষ্ঠানটি। আর্থিক লেনদেনের জন্য চেক, ক্রেডিট কার্ড কিংবা অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যম সৃষ্টি হলেও সময়ের সাথে বাড়ছে কাগুজে মুদ্রার ব্যবহার। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
সুইজারল্যান্ডের লুজানের প্রতিষ্ঠান কোয়েনিগ অ্যান্ড বয়ার। গেল ৭০ বছর ধরে নোট এবং নোট ছাপানোর যন্ত্র তৈরি করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। বিশ্বের ৯০ শতাংশ দেশেরই টাকশালের সাথে জড়িত কোয়েনিগ অ্যান্ড বয়ার। এখান থেকেই কোনো কোনো দেশ সরাসরি নোট ছাপায়, আবার কোনো দেশ নোট ছাপানোর যন্ত্র তৈরি করে।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান এরিক বয়জোনাস বলেন, করোনা এবং ইউক্রেন সংকটের কারণে নোট ছাপানোর হার বেড়েছে। বিশেষ করে ইউক্রেনের আশেপাশের দেশগুলোয় অন্যান্য সময়ের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি ছাপানো হচ্ছে কাগুজে মুদ্রা। এটাই নিয়ম, কারণ যখনই কোনো সংকট সৃষ্টি হয়, মানুষ চিন্তা করে যত বেশি সম্ভব অর্থ নিজের কাছে রাখতে, যাতে যেকোনো প্রয়োজন মেটানো যায়।
এরিক বয়জোনাস আরও বলেন, চেকের প্রচলন শুরু হলে তখন বলা হলো এবার নোটের ব্যবহার শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু তা হয়নি, উল্টো সময়ের সাথে সাথে এর চাহিদা বেড়েছে। তারপর এলো ক্রেডিট কার্ড। আর এখন তো লেনদেনের জন্য অনেক ডিজিটাল মাধ্যম তৈরি হয়েছে। কিন্তু নোটের ব্যবহার কমেনি।
এরিক বলেন, বিশ্বজুড়ে অন্তত দেড় বিলিয়ন মানুষ আছে যাদের ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট নেই। ব্যাংক নোটই এসব মানুষের লেনদেনের একমাত্র মাধ্যম। উন্নয়নশীল দেশগুলোর বেশিরভাগ বাসিন্দাই নোটে লেনদেনের মাধ্যমে অভ্যস্ত। আর প্রতি বছর ২-৫ শতাংশ হারে বাড়ছে নোটের চাহিদা।
উল্লেখ্য, কোনো দেশের নোট ছাপানোর সময় কোয়েনিগ অ্যান্ড বয়ারের কার্যালয়ে নেয়া হয় কড়া নিরাপত্তা। নোটের সিরিয়াল নম্বর থেকে শুরু করে শনাক্তকরণ প্রতিটি চিহ্ন নিশ্চিত করে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: পুতিন নারী হলে ইউক্রেনে হামলা করতেন না: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
ইউএইচ/
Leave a reply