চট্টগ্রামে গরুটি পরিচিত লাল বিরিষ নামে, অবশ্য সুন্দরী বা অষ্টমুখী লাল গরুও বলে থাকেন অনেকে। চট্টগ্রামে কোরবানি পশুর হাটে চাহিদার শীর্ষে লাল বিরিষ। দেশি জাতের এই গরুর সমাহারও প্রচুর। তবে এবার দাম চড়া বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। দুদিন ধরে চট্টগ্রামে জমে উঠেছে সব হাট। তবে বেচাকেনা কম, যাচাই-বাছাইয়ে ব্যস্ত ক্রেতারা।
আকারে কিছুটা ছোট, চর্বিও কম, দেখতে সুন্দর এবং সতেজ হওয়ায় কোরবানির পশু কেনার ক্ষেত্রে চট্টগ্রামের মানুষের প্রথম পছন্দ লাল জাতের এই দেশি গরু। যথারীতি এবারও চাহিদার শীর্ষে।
চট্টগ্রাম এবং আশেপাশের জেলায় বেশি উৎপাদন হলেও, বেশি চাহিদার কারণে এসব গরু লালনপালন হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়ও। কুমিল্লা সাতক্ষীরাসহ কয়েকটি জেলা থেকে দলে দলে এসব গরু আসছে চট্টগ্রামের বাজারে। অস্ট্রেলিয়ান, ইন্ডিয়ানসহ বিভিন্ন দেশের বড় আকারের গরুর সংখ্যাও কম নয়। ২২ মন ওজনের ‘কালু’ নামের একটি গরুর দাম হাঁকা হচ্ছে ২০ লাখ টাকা।
এদিকে, ক্রেতারা হাটে আসতে শুরু করলেও, বেচাকেনা কম, চলছে যাচাই-বাছাই। ক্রেতারা বলছেন, এবার বাজার চড়া। সবাই অতিরিক্ত দাম চাচ্ছেন।
স্থায়ী এবং অস্থায়ী মিলিয়ে চট্টগ্রাম মহানগরের ১১ ও বাইরের আরও ১৪ উপজেলায় শতাধিক পশুর হাট বসছে। ট্টগ্রামে এবার কোরবানি পশুর চাহিদা প্রায় সাড়ে ৭ লাখ।
/এডব্লিউ
Leave a reply