সাভার প্রতিনিধি:
শিক্ষক উৎপল কুমার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় উঠে আসা সেই ছাত্রী গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন। তার দাবি, জিতু ও তাকে নিয়ে যে ভালোবাসার কথা রটনা হয়েছে তা মিথ্যা। কোনো বিষয়ে উৎপল স্যার তাকে ও তার পরিবারকে কখনো শাসায়নি। জিতু তাকে আন্টি বলে ডাকতেন।
রোববার (৩ জুলাই) রাতে আশুলিয়ার তার নিজ বাড়িতে গণমাধ্যমের কাছে এসব কথা বলেন হাজী ইউনুছ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির সেই ছাত্রী।
ওই ছাত্রী বলেন, আমাদের প্রতিবেশীরা আমাকে নিয়ে বদনাম উঠিয়েছে। বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন মনগড়া কথা বলছে। আসলে সেগুলো কোনোটাই সত্যি না। জিতুর বাবার কাছ থেকে আমার পরিবার জমি কিনেছেন। তাছাড়া জিতুর সঙ্গে আমার ভাইয়ের বন্ধুত্ব। সেই সুবাদে জিতুর বাবাকে ভাই বলতাম আর জিতু আমাকে আন্টি বলে ডাকতো।
ওই ছাত্রী আরও জানান, আমি কলেজে পড়ি আর জিতু স্কুলে তার সাথে কথাবার্তা হতো। ফলে এলাকার মানুষ বা স্কুলের স্টুডেন্টরা যদি ভেবে থাকে আমাদের সম্পর্ক আছে? তাহলে এটা তো ভুল। বিষয়টি নিয়ে উৎপল স্যার নাকি আমাকে শাসিয়েছে, যা সত্য নয়। ২০১০ সাল থেকে স্কুলটিতে নার্সারি থেকে এখন কলেজে পড়ি। এমন ইস্যু নিয়ে কেউ কখনো শাসায়নি। যদি তদন্তে আমি দোষী সাব্যস্ত হই। তবে প্রশাসন আমাকে যে শাস্তি দিবে আমি সেটাই মেনে নিবো। আমার সাথে জিতুর কোনো সম্পর্ক নেই।
শিক্ষক হত্যার বিষয়ে তিনি বলেন, শিক্ষক হত্যার মতো ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। উৎপল কুমার স্যার তিনি আমার গুরুজন। জিতু পৃথিবীর জঘন্যতম অপরাধ করেছে। জিতুর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এদিকে ৩০ জুন হাজী ইউনুছ আলী কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষক উৎপল কুমার হত্যার ঘটনায় পুলিশি তদন্তে ও আসামির জবান বন্দিতে এই ছাত্রীর সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তাকে কলেজ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে।
ইউএইচ/
Leave a reply