আইপিএল বা পিএসএল’র মতো টুর্নামেন্টগুলো সাধারণত স্থানীয় ব্যাটারদের জন্য আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর কাজ করে। কারো জন্য প্রত্যাবর্তনের মঞ্চ, আবার কারো জন্য নিজেকে জানান দেয়ার উপলক্ষ্য। কিন্তু, আপাতদৃষ্টিতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের সর্বশেষ আসর দেশের ক্রিকেটের জন্য যেন এক লস প্রজেক্ট! ব্যাটিংয়ে এখানে প্রত্যাবর্তনের ফলাফলটা শুধু অভিমানের জবাব দেয়ার; তাছাড়া পুরোটাতেই বিদেশিদের জয়জয়কার।
গত বিপিএলে শীর্ষ ৫ রান সংগ্রাহকের তালিকায় আছেন মাত্র ১ বাংলাদেশি ব্যাটার; যিনি আবার পারতপক্ষে টি-টোয়েন্টি খেলেন না। সমৃদ্ধশালী স্ট্রাইকরেটের হিসেবেও শীর্ষ পাঁচে নেই কোনো বাংলাদেশি। অন্যদিকে, আইপিএল বা পিএসএল’র পরিসংখ্যান ঘাটলে দেখা যায়, সেখানে থাকে স্থানীয় ক্রিকেটারদের জয়জয়কার।
বিপিএল ২০২২’র শীর্ষ ৫ রান সংগ্রহকারী ব্যাটারের ৪ জনই বিদেশি। সেই তালিকায় ১১ ম্যাচে ৪১৪ রান নিয়ে শীর্ষে উইল জ্যাকস। ৩ নম্বরে থাকা তামিম ইকবাল এই টুর্নামেন্ট দিয়ে শুধুমাত্র সমালোচকদের জবাব দিয়েছেন, দেশের ক্রিকেটে লাভ হয়নি কিছুই।
এবার তুলনা করা যাক ২০২২ পিএসএল’র সাথে; যেখানে শীর্ষ ৫ রান সংগ্রহকারী ব্যাটসম্যানের ৪ জনই পাকিস্তানি। শীর্ষ পাঁচে জায়গা হয়নি অধিনায়ক বাবর আজমের।
২০২২ আইপিএলের শীর্ষ ৫ রান সংগ্রাহকের তালিকায় আছেন ৩ ভারতীয়। এছাড়াও, ৪০০’র ওপর রান করেছেন দিপক হুডা, রাহুল ত্রিপাঠি, ইশান কিশান, সাঞ্জু স্যামসনদের মতো তরুণরা। দীনেশ কার্তিক কিংবা হার্দিক পান্ডিয়াদের স্ট্রাইকরেট ছিল এক্স ফ্যাক্টর।
স্ট্রাইক রেটের প্রসঙ্গ যখন আসলো তখন বলে নেয়া ভালো, বিপিএল ২০২২য়ে কমপক্ষে ১০০ রান করেছেন এমন ব্যাটারদের স্ট্রাইক রেটের তালিকা করলে শীর্ষ ৫’এ কোনো বাংলাদেশি নেই। ৬ নম্বরে আছেন মুনিম শাহরিয়ার; যা ব্যাট হাতে এবারের বিপিএলের একমাত্র সফলতার গল্প।
এক বিপিএল থেকে আরেক বিপিএলের পার্থক্য ১ বছর; মাঝে আর কোনো টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট নেই। এভাবেই চলছে এদেশের টি-টোয়েন্টি কালচার; যেখানে না পারেন কেউ নিজেকে মেলে ধরতে, না পারেন কেউ প্রত্যাবর্তন করতে। আর তাই, ঘরের একটা দরজার তালা খুলে ৩ দরজায় প্রবেশ করা যায় এদেশের ক্রিকেটে। ওয়ানডেতে পারফর্ম করে এনামুল বিজয়রা সুযোগ পেয়ে যান ৩ ফরম্যাটে। এটাই এদেশের ক্রিকেট কালচার।
/এম ই
Leave a reply