স্টাফ রিপোর্টার, নেত্রকোণা:
নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলায় মাছ ধরতে স্কুল ভবন থেকে বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে বাধা দেয়ায় এক শিক্ষককে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়েছে স্থানীয় কয়েকজন বখাটে। এ সময় ওই শিক্ষকের হাত ভেঙে দেয়ারও অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে।
আহত মো. মোস্তফা কামাল ওই উপজেলার কৈলাটি ইউনিয়নের সেহড়াউন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। মোস্তফা কামাল সেহড়াউন্দ গ্রামের বাসিন্দা।
কলমাকান্দার সিধলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক উজ্জল কান্তি সরকার বলেন, রোববার বিকেলের দিকে সেহড়াউন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি ভবন থেকে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে বৈদ্যুতিক মোটর চালিয়ে পাশের ডোবা সেচছিল স্থানীয় কয়েকজন। শিক্ষক মোস্তফা স্কুল ভবন থেকে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারে বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা শিক্ষককে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। পরে আহত শিক্ষককে উদ্ধার করে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা।
অভিযুক্তরা হলেন, সেহড়াউন্দ গ্রামের হেলাল মিয়ার ছেলে মোবারক মিয়া (২০), বকুল মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া (২০) ও সেকুল মিয়ার ছেলে শরীফ (১৫)।
শিক্ষক মোস্তফা কামাল বলেন, তার বাম হাতের কনুইয়ের নীচে হাড় ভেঙে গেছে এবং মাথায় নয়টি সেলাই দিতে হয়েছে বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোলা-জখম রয়েছে। তিনি বর্তমানে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শিক্ষক মোস্তফা কামালের বড় ভাই মজিবুর মিয়া বলেন, ১৯৯৯ সাল থেকে আমার ভাই এই বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। আমরা স্বপ্নেও ভাবিনি এভাবে তাকে পিটিয়ে আহত করবে। আমি এই হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি করছি।
সিধলী তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক উজ্জ্বল কান্তি বলেন, লিখিত অভিযোগ না পেলেও অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশি অভিযান চালানো হচ্ছে।
ইউএইচ/
Leave a reply