রুশ আগ্রাসনের জেরে বন্ধ হয়ে গেছে ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রফতানি। শীর্ষস্থানীয় রফতানিকারক দেশটির কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার গোটা বিশ্বেই দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট। বেড়েছে খাদ্যের দাম। সংকট কাটাতে এবার তুরস্ক ও জাতিসংঘের সাথে আলোচনা চালাচ্ছে কিয়েভ। রফতানি প্রক্রিয়া কিভাবে আবারও চালু করা যায়, তা নিয়ে চলছে দেন-দরবার। খবর রয়টার্সের।
গেল ৪ মাস যাবৎ ইউক্রেনের শস্য পড়ে আছে গোডাউনে। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে একই দশা, বিশ্বের খাদ্যশস্যের অন্যতম যোগানদান দেশটির। সিংহভাগ রফতানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বৈশ্বিক সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার জেরে বেড়েছে খাদ্যপণ্যের দাম।
আগ্রাসন শুরুর পর কৃষ্ণসাগরে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে দেশটি। বহির্বিশ্বে খাদ্যশস্য রফতানি করতে পারছে না জেলেনস্কির প্রশাসন। যেটুকু চালু রয়েছে সেই জাহাজগুলোও আছে নিরাপত্তা শঙ্কায়। সংকট কাটাতে এবার জাতিসংঘ এবং তুরস্কের সাথে আলোচনায় বসেছে ইউক্রেন। ‘গ্রিন জোন’ চালুর মাধ্যমে রগতানি স্বাভাবিক করার পথ খুঁজছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।
ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়ার কারণে যদি খাদ্য সরবরাহ আরও বাধাগ্রস্ত হয়, তাহলে এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলোতে খাদ্য সংকট আরও বাড়বে। ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাপী আকাশচুম্বী নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। পুতিনের আগ্রাসী আচরণই এর জন্য দায়ী।
এদিকে মস্কোর দাবি, রপ্তানীমুখী জাহাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। খাদ্যশস্য পরিবহণে কোনো বাধা দিচ্ছে না রুশ সেনারা। ইউক্রেন থেকে তুরস্কের শস্য আমদানিতেও দিয়েছেন সবুজ সংকেত
কিয়েভের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, খাদ্য পণ্য রপ্তানি নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। আর শস্য পরিবহনে আমরা কখনও বাধা দিইনি। তুরস্ক চাইলেই গম, ওটস আমদানি করে পুনরায় রফতানি করতে পারে।
মধ্যস্ততাকারী হিসেবে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানের আশা দু’পক্ষের সাথে আলোচনায় সুফল আসবে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন ও প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সাথে আলোচনার জন্য চেষ্টা করছি। দু’জনের সাথে সাক্ষাত করবো। ইউক্রেন থেকে তুরস্কে খাদ্য পরিবহন করে যেসব দেশে খাদ্য সংকট রয়েছে সেখানে রফতানির পরিকল্পনা রয়েছে।
যুদ্ধ শুরুর আগে প্রতিমাসে ৪৫ মিলিয়ন টন কৃষিপণ্য রপ্তানি করতো ইউক্রেন। জাতিসংঘ বলছে, রুশ-ইউক্রেন সংকট শুরুর পর বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম অন্তত ৩০ শতাংশ বেড়েছে।
এটিএম/
Leave a reply