বরিস জনসনের পর কে হতে পারেন যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী; তা নিয়ে চলছে জোর হিসেব-নিকেশ। এরইমধ্যে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য আলোচনায় এসেছে অন্তত বর্তমান ও সাবেক ১০ মন্ত্রীর নাম। যাদের মধ্যে শুরুতেই রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রস। এছাড়া সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেসও আছেন আলোচনায়।
এমনকি নতুন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার তালিকা থেকে বাদ দেয়া যাবে না পদত্যাগী অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাকের নামও।
কনজারভেটিভ পার্টির তৃণমূলে জনপ্রিয়তা পাওয়া ট্রস আলোচিত তার ইতিবাচক ব্যক্তিত্বের কারণে। ৪৬ বছর বয়সী এই নেতা পালন করেছেন বাণিজ্য ও অর্থমন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। ব্রেক্সিট ইস্যুতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে দর কষাকষির নিয়ে আলোড়ন তোলেন লিজ ট্রস।
এরপরই আলোচিত হচ্ছে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্টের নাম। ৫৫ বছর বয়সী এই নেতা কনজারভেটিভ নেতৃত্ব নির্বাচনে ২০১৯ সালে অংশ নেন। সেই সময় তার অবস্থান ছিল বরিস জনসনের পরই। সবসময়ই বরিসের সমালোচনায় উচ্চকণ্ঠ এক সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা জেরেমি হান্ট।
ইউক্রেন সংকট মোকাবেলার সুবাদে সম্প্রতি কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যদের কাছে সরকারের সবচেয়ে জনপ্রিয় সদস্য হয়ে উঠেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস। সাবেক এই সামরিক কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করেছেন নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড, জার্মানি, সাইপ্রাস ও মধ্য আমেরিকাতে।
অন্যদিকে গেল বছর পর্যন্ত জনসনের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক। করোনা মহামারিতে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্যাকেজের কারণে তিনি প্রশংসিত হয়েছেন। বরিস জনসনের সাথে লকডাউন বিধি ভঙ্গের অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধেও।
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার তালিকায় আলোচনায় রয়েছেন বর্তমান অর্থমন্ত্রী নাদিম জাহাবি ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী পেনি মরডাউন্টও।
/এমএন
Leave a reply