দেশে আবারও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে করোনা পরিস্থিতি। কোনো কোনো হাসপাতালে সংক্রমণের হার ৩০ শতাংশের বেশি। মৃত্যুর তালিকায় প্রতিদিন যুক্ত হচ্ছে একাধিক নাম। এসবই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের প্রভাব বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের। তুলনামূলকভাবে বয়স্করা বেশি ঝুঁকিতে বলে মত তাদের।
কয়েক মাস আগেও করোনা পরীক্ষায় ভিড় ছিলো না। তবে এখনকার পরিস্থিতি ভিন্ন। দশটার মধ্যেই সিরিয়াল শেষ হয়ে যায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের। বেশিরভাগ মানুষই আসেন করোনার নানান উপসর্গ নিয়ে। হাসপাতালটিতে রোগী ভর্তির চিত্রও একই। মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সকালে মাত্র আধণ্টায় ভর্তি হয়েছেন তিনজন। আর গত এক সপ্তাহে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৪৫ জন। আইসিইউ এর ৬০ ভাগ বেড এরই মধ্যে শেষ হয়ে গেছে কুর্মিটোলায়।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, পরীক্ষা করতে আসা রোগীদের ৩০ শতাংশের বেশি করোনা পজেটিভ। পরীক্ষার পরিধি বাড়ানো গেলে শনাক্তের সংখ্যা আরও বেড়ে যাবে। কুয়েত মৈত্রী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক অধ্যাপক মো. শিহাব উদ্দিন বলেন, আরটিপিসিআর টেস্টের পরিমাণ বেড়েছে। টেস্টের ৩০-৪০ ভাগ রোগীই এখন পজেটিভ হিসেবে শনাক্ত করছেন। এই হাসপাতালে ৭ জন করোনা রোগী আইসিইউতে আছেন বলে জানান তিনি। করোনার নতুন ঢেউ ঠেকাতে স্বাস্থ্যবিধি পালন ও টিকার বুস্টার ডোজ নেয়ার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রসঙ্গত, বুধবার (৬ জুলাই) ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে দেশে মারা গেছেন ৪ জন। আর শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৭২৮ জন। এ নিয়ে করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৯ লাখ ৮৪ হাজার ৭০০ জনে। দেশে করোনায় মোট মৃত্যু হলো ২৯ হাজার ১৮৫ জনের।
এসজেড/
Leave a reply