রুপালি পর্দায় আবারও ফিরছে ‘থর’। মার্ভেল কমিসকের জনপ্রিয় এ সিনেমার চতুর্থ পর্ব ‘থর: লাভ অ্যান্ড থান্ডার’ আসছে শুক্রবার (৮ জুলাই)। সারা বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশেও মুক্তি পাবে বহুল প্রতীক্ষিত মার্ভেলের এ সিনেমা।
যুক্তরাষ্ট্রে মার্ভেল কমিসকের চরিত্রনির্ভর মার্ভেল স্টুডিও প্রযোজিত সুপারহিরোভিত্তিক সিনেমা ‘থর’ মুক্তি পায় ২০১১ সালে। এরপর ২০১৩ ও ২০১৭ সালে মুক্তি পায় ‘থর: দ্য ডার্ক ওয়ার্ল্ড’ ও ‘থর: র্যাগনারক’। মুক্তির পর তিনটি সিনেমাই বক্স অফিসে দুর্দান্ত ব্যবসা করে।
চতুর্থবারের মতো আসছে মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনির্ভাসের ২৯তম সিনেমা ‘থর: লাভ অ্যান্ড থান্ডার’। থাকছেন একঝাঁক তারকা। যার মধ্যে জনপ্রিয় চরিত্র থর। যে চরিত্রে অভিনয় করেছেন ক্রিস হেমসওয়ার্থ। এ নিয়ে অষ্টমবারের মতো এ চরিত্রে অভিনয় করেছেন ক্রিস। ‘থর’ই মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্সের একমাত্র চরিত্র, যাকে নিয়ে চারটি আলাদা সিনেমা তৈরি হয়েছে।
তাইতো সিনেমার জন্য নিজেকে তৈরি করতে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে এ অভিনেতাকে। সিনেমাতে শক্তিশালী ও বলিষ্ঠ দেখাতে তাকে ওজন বাড়িয়ে ১০৫ কেজি করতে হয়েছে। অভিনেতার দীর্ঘদিনের ট্রেনার লুক জোকসি এ প্রসঙ্গে বলেন, শুটিং চলার পুরোটা সময় শুধু মাংসপেশি ঠিক রাখতেই নিয়ম করে দিনে আটবার খাবার খেতে হয়েছে ক্রিসকে।
শুধু ক্রিস হেমসওয়ার্থই নয় সিনেমার জন্য পেশিবহুল শরীর তৈরি করতে হয়েছে নাটালি পোর্টম্যানকেও। জেন ফস্টার চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তুতির জন্য এক বছর সময় নিয়ে তৈরি হয়েছেন তিনি।
এই সিনেমাতেই বিশ্ব জানবে সুপারহিরো থর হতে পারেন একজন নারীও। আর সেই নারী আর কেউ নন, অস্কারজয়ী নাটালি পোর্টম্যান। যাকে থরের প্রথম দুই সিনেমায় দেখা গেছে ক্রিস হেমসওর্থ এর সাবেক প্রেমিকা জেন ফস্টারের চরিত্রে।
নিজের চরিত্র নিয়ে নাটালি পোর্টম্যান বলেন, আমি মনে করি একজন সুপারহিরোর চরিত্রে অভিনয় করাটা আমার জন্য খুবই অবিশ্বাস্য। সুপারহিরোর চরিত্রে খুব বেশি নারীদের দেখা যায় না। আমি চাই, পরবর্তী সিনেমাগুলোতে যেনো নারী সুপারহিরো চরিত্রগুলোর দিকে পরিচালকরা আরও বেশি নজর দেয়।
বজ্রের দেবতা থর চরিত্রটিতে ক্রিস হেমসওয়ার্থকে বেশ ভালোভাবেই নিয়েছিলেন দর্শক। তবে এবার থর এর হ্যামার হাতে নিয়ে নতুন চমক দেখাবেন নাটালি পোর্টম্যান। থর এর মতোই কি এ নারী সুপারহিরো ঠিক ততটাই দর্শকপ্রিয়তা পাবে! তা বলে দিবে সময়।
/এসএইচ
Leave a reply