শিডিউল বিপর্যয়ে যাত্রীদের ভোগান্তি, টিকিট কেটেও ঢোকা যাচ্ছে না ট্রেনে

|

ট্রেনে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড়।

ঈদযাত্রায় ট্রেনে দেখা গেছে উপচে পড়া ভিড়। কমলাপুর রেল স্টেশনে টিকিট কাটার পরও ট্রেনের ভেতরে প্রবেশ করতে পারছেন না অনেকে। বাধ্য হয়ে ছাদে উঠছেন তারা। শুক্রবার (৮ জুলাই) সকাল থেকে দেখা দেয় ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ও। নির্ধারিত সময়ের তিন থেকে চার ঘণ্টা পর ছাড়ছে ট্রেন। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রীরা। ভোগান্তির এ সকল অনুসঙ্গই বেশি দেখা গেছে উত্তরবঙ্গের ট্রেনে।

ট্রেনের স্বস্তির ঈদযাত্রা এবার হলো না ঈদে ঘরমুখী মানুষের। তিল ধারণের ঠাঁই নেই প্লাটফর্মে। ট্রেন আসলে হুমড়ি খেয়ে পড়ে হাজারো মানুষ। ফলে যারা টিকিট কিনেছেন আগেই, তাদের অনেকে ভেতরে প্রবেশ করতে পারছেন না। তাই অসহায় বহু যাত্রী উঠেছেন ট্রেনের ছাদে। ছাদ, বগি সব বোঝাই করে ঢাকা ছাড়ছে প্রায় সব ট্রেন। নারী, পুরুষ ও বয়স্কদেরও দেখা গেছে ট্রেনের জানালা দিয়ে ভেতরে ঢুকতে। যাত্রীরা জানান, সিটে বসে যাবেন বলেই টিকিট কেটেছিলেন তারা। কিন্তু এখন আর সুষ্ঠুভাবে যাওয়ার কোনো সুযোগই নেই। প্রচণ্ড গরমে যাত্রীবোঝাই বগিতে বসে স্বস্তিতে নেই কেউ। আর এমন পরিস্থিতিতে অসহায় কর্তৃপক্ষ।

অতিরিক্ত ভিড়ের সাথে আছে ভোগান্তির আরও কারণ। উত্তরবঙ্গগামী বিভিন্ন ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। নির্ধারিত সময়ের কয়েক ঘণ্টা পর ছাড়ছে ট্রেন। এমন অব্যবস্থাপনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অনেক যাত্রী। তারপরও বাড়ি যেতে হবে। প্রিয়জনের সাথে করতে হবে ঈদ। এ মুহূর্তে নিরাপদে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেয়াই বড় চ্যালেঞ্জ, এমনটিই বলছে রেল কর্তৃপক্ষ। কমলাপুর রেলস্টেশনের ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেন, হুমড়ি খেয়ে পড়া এই বিশাল জনস্রোতকে নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দেয়ার জন্য ট্রেনকে কিছুটা সময় নিয়ে চালাতে হয়েছে।

আরও পড়ুন: ঈদযাত্রায় সড়ক ও রেলপথে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply