রাজশাহী ব্যুরো:
ট্যানারি মালিকদের কাছে পাওনা টাকা আদায় করতে না পেরে অনেক চামড়া ব্যবসায়ী পেশা ছেড়েছেন। তাই রাজশাহীর চামড়া ব্যবসার নিয়ন্ত্রক এখন দুই ট্যানারি মালিক আর জনাকয়েক ব্যবসায়ী। তাদের দাবি, আর্থিক টানাপড়েনে আছেন তারাও। তারপরও প্রস্তুতি নিচ্ছেন কোরবানির চামড়া কেনার। তারা বলছেন, চামড়ার দাম কম, বাজার মন্দা, তারওপর সরকার বাড়িয়েছে দাম। তাতেই লোকশানের আশঙ্কা করছেন তারা। অন্যদিকে চামড়া পাচার ঠেকোতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে বিজিবি।
জেলার বেলপুকুরে আগে চামড়া ব্যবসায়ী ছিলেন ৬৫ জন। এখন সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১০ জনে। বাকিরা ধরেছেন রোজগারের অন্য পথ। তাদের দাবি, ট্যানারি মালিকদের কাছে পাওনা অন্তত ১৫ কোটি টাকা তুলতে না পেরে পেশা ছেড়েছেন অধিকাংশ। যারা টিকে আছেন তারা আর্থিক টানপোড়েনেও প্রস্তুতি নিচ্ছেন চামড়া কেনার। তাদের দাবি, লবণের দাম বাড়ায় লাভ-লোকসানের সমীকরণ বদলেছে আরও। প্রান্তিক ব্যবসায়ীদের দাবি, চামড়ার বাজারে নৈরাজ্য আর সরকার নির্ধারিত দামের তুলনায় স্থানীয় বাজারের দর কম হওয়ায় দুঃশ্চিন্তা বেড়েছে তাদের।
প্রতিবেশী দেশে দাম বেশি হওয়ায় কোরবানির পশুর চামড়া পাচারের শঙ্কাও আছে ব্যবসায়ীদের। তবে পাচার রোধে কঠোর নজরদারির কথা জানিয়েছে বিজিবি। এ নিয়ে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ বলেন, চামড়া যাতে চোরাচালান না হয় সে বিষয়ে আমরা কঠোর নজরদারি রাখছি। এ বিষয়ে আমি প্রতিটি রিজন এবং সেক্টরে বিশেষ নির্দেশিকা দিয়েছি, বিশেষ করে যেসব স্থানে এই প্রবণতা বেশি।
উল্লেখ্য, ঢাকার বাইরে গরুর চামড়া প্রতি বর্গফুট ৪০ থেকে ৪৪ টাকা, খাসির চামড়া ১৮ থেকে ২০ টাকা এবং বকরির চামড়া ১২ থেকে ১৪ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার।
এসজেড/
Leave a reply