চরম জ্বালানি সংকটের কারণে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কার সাধারণ মানুষ যাতায়াতের বিকল্প হিসেবে বেছে নিয়েছে বাইসাইকেল। ব্যক্তিগত গাড়ি থাকলেও অনেক লঙ্কানই এখন কর্মক্ষেত্রে যাচ্ছেন সাইকেলে চালিয়ে। দোকানগুলোতেও বেড়েছে দুই চাকার এ যানের বিক্রি। তবে ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা আমদানি বন্ধ থাকায় শিগগিরই দেখা দিতে পারে সাইকেলের সংকট।
গোটা শ্রীলঙ্কাজুড়েই এখন পেট্রোলের জন্য হাহাকার। দিনের পর দিনে লাইনে দাঁড়িয়েও পাওয়া যাচ্ছে না এ সোনার হরিণ। তাই, বিকল্প হিসেবে দেশটিতে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে বাইসাইকেলের ব্যবহার। পেশায় ডাক্তার এক লঙ্কানের চলার পথের সঙ্গী এখন সাইকেল। অফিস থেকে শুরু করে বাজার, যেকোনো গন্তব্যে যেতে সাইকেলই এখন তার একমাত্র বাহন। শুধু তিনিই নন তার মতো অনেক লঙ্কানই বাড়িতে গাড়ি রেখে প্রতিদিন সাইকেল চালিয়েই ছুটছেন কাজে।
ডাক্তার থুসিথা কাহাদুয়া বলছেন, তিন দিন দাঁড়িয়ে থেকেও পেট্রোল পাইনি। তাই আমি এই বাইসাইকেলটি কিনেছি। বাইসাইকেলও খুব ব্যয়বহুল। সামর্থ্য অনুযায়ী এটি কিনেছি আমি। গেলো তিন সপ্তাহে আমার পেট্রোল দরকার হয়নি।
ব্যস্ত সময় পার করছেন বাইসাইকেল ব্যবসায়ীরাও। চাহিদা বাড়ায় বেড়েছে সাইকেলের দাম। তবে আমদানি বন্ধ থাকায় কয়েকদিন পর দেশটিতে সাইকেলের সঙ্কটও দেখা দেয়ার শঙ্কা জেগেছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, যাদের প্রতিদিন অফিস যেতে হয় তাদের পক্ষে পেট্রোলের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকা সম্ভব না। তাই সবাই বাইসাইকেল কেনা শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু আমদানি বন্ধ থাকায় নতুন সাইকেল কিনতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা।
চরম অর্থনৈতিক সংকটে থাকা শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শূন্যের কোঠায়। বর্তমানে লঙ্কানদের পেট্রোল-ডিজেল আমদানির সক্ষমতা নেই। ফলে সহসাই শেষ হচ্ছে না জ্বালানি সংকট।
/এডব্লিউ
Leave a reply