জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শুক্রবারের (৮ জুলাই) এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা সন্দেহে আটক তেৎসুইয়া ইয়ামাগামি সম্পর্কে খুব বেশি জানতে পারেনি এখনও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। খবর সিএনএনের।
হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ৪১ বছর বয়সী তেৎসুইয়া ইয়ামাগামি মূলত একজন বেকার; সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে নারা পুলিশ। তদন্তকারীদের কাছে ইয়ামাগামি বলেছে, নির্দিষ্ট একটি সংগঠনের উপরেই তার ক্ষোভ ছিল। আর তার ধারণা, সেই সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন আবে। পুলিশ সেই সংগঠনের নাম প্রকাশ করেনি।
পুলিশ জানিয়েছে, নিজের বানানো অস্ত্র দিয়ে শিনজো আবেকে গুলি করেন তেৎসুইয়া ইয়ামাগামি। ঘটনাস্থলের ছবিতে দেখা যায়, সিলিন্ডার আকৃতির দুটি ধাতব ব্যারেল কালো স্কচটেপ দিয়ে আটকে বানানো হয়েছিল এই অস্ত্র। হাতে বানানো সেই বন্দুক ৪০ সেন্টিমিটার (প্রায় ১৬ ইঞ্চি) লম্বা এবং ২০ সেন্টিমিটার প্রশস্ত। পুলিশ পরবর্তীতে তেৎসুইয়া ইয়ামাগামির অ্যাপার্টমেন্ট থেকে হাতে বানানো অস্ত্র সদৃশ কয়েকটি বস্তু বাজেয়াপ্ত করেছে।
প্রতিবেদনে এনএইচকে জানিয়েছে, আঠালো টেপ দিয়ে লোহার পাইপ বেঁধে বেশ কিছু বন্দুক বানিয়েছে ইয়ামাগামি। পুলিশ জানিয়েছে, ইয়ামাগামির অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ব্যারেল হিসেবে তিন, পাঁচ ও ছয়টি লোহার পাইপের বন্দুকও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। লোহার ব্যারেলে ব্যবহৃত বুলেট অনলাইন থেকে অর্ডার করেছিলেন আততায়ী। পুলিশের ধারণা, নিজের বানানো সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র দিয়েই শিনজো আবেকে হত্যা করেন ইয়ামাগামি।
আরও পড়ুন: নিরাপত্তায় সমস্যা ছিল, অস্বীকার করতে পারছি না: নারা পুলিশ প্রধান
/এম ই
Leave a reply