কোরবানির বর্জ্য অপসারণ নিয়ে যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা

|

ফাইল ছবি

রাজধানীর অস্থায়ী পশুর হাটগুলো থেকে বর্জ্য অপসারণ করাই এখন দুই সিটি করপোরেশনের অন্যতম চ্যালেঞ্জ। নগরীর স্থায়ী ও অস্থায়ী ১৮টি পশুর হাটে ঈদের দিন সকাল থেকেই পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু করে সিটি করপোরেশন। চিকিৎসকরা বলছেন, দ্রুত বর্জ্য পরিষ্কার করা না হলে বাড়তে পারে রোগব্যাধী।

ঢাকা দক্ষিণের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের শাহজাহানপুর হাট। কোরবানির পশু বিক্রির জন্য বেশ কয়েকদিন ধরেই সরগরম ছিলো এটি। কোরবানির দিন সকাল থেকেই হাটের পশুবর্জ্য পরিষ্কারে ব্যস্ত সিটি করপোরেশনের কর্মীরা। পরিচ্ছন্নত কার্যক্রম তদারকি করছেন সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা। জানান দ্রুততম সময়ে অস্থায়ী হাটগুলো থেকে বর্জ্য অপসারণে সচেষ্ট তারা।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা (দক্ষিণ) সিটি করপোরেশনের ১১ নং ওয়ার্ড কমিশনার মির্জা আসলাম বলেন, গতকাল রাত থেকেই কিন্তু কাজ শুরু করে দিয়েছি। আমি চাই আমার ওয়ার্ড দ্রুত পরিষ্কার হোক, এটা আমার জন্য ভাল এলাকাবাসীর জন্যও ভাল।

ঢাকা (দক্ষিণ) সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা-২ সুয়ে মেন জো বললেন, ব্লিচিং পাউডার-স্যাভলন দেয়া থাকে। বর্জ্য যাতে না ছড়ায় এজন্য ব্যাগের ব্যবস্থাও করা থাকে।

চিকিৎসকরা বলছেন কোরবানির আবর্জনা থেকে ছড়াতে পারে নানান রোগব্যাধী। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দ্রুত বর্জ্য অপসারণের বিকল্প নেই।

দোহার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. উম্মে হুমায়রা কানেতা বলেন, কোরবানির পশুর বর্জ্য, রক্ত, মল-মূত্র এগুলো খাবারের সাথে পেটে চলে গেলে অন্ত্রের বিভিন্ন্রকম সমস্যা যেমন-বমি, পেটব্যথা, পাতলা পায়খানা ইত্যাদি বাড়তে পারে।

এভারকেয়ার হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. সামিউল আউয়াল সাক্ষর বলেন, পরিবেশ দূষণের যে ব্যাপারটা রয়েছে যে ধরেন দুর্গন্ধের প্রভাবও আমাদের শরীরের ওপর পড়তে পারে।

পশুর জমাট রক্ত কিংবা নর্দমায় ফেলা আবর্জনার কারণে বাড়তে পারে মশা-মাছির উপদ্রবও। এজন্য নগরবাসীর সচেতনতা জরুরি বলে মনে করেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply