কোরবানির দিনে অন্য অনেকের মতই সুফিয়া বেগমের দুপুর কেটেছে গুপ্তপাড়া সড়কের একটি বাড়ির নিচতলায়। অতীতে কখনও মাংস সংগ্রহের অভিজ্ঞতা না থাকলেও ক্যান্সারে মারা যাওয়া মেয়ের দুই সন্তানের জন্য এবার মাংস সংগ্রহে নেমেছেন তিনি। যাদের সামর্থ্য নেই কোরবানি করার তারা বাড়ি-বাড়ি গিয়ে মাংস সংগ্রহ করেন। উত্তরাঞ্চলে এবার এমন মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। এই দৃশ্য উত্তরাঞ্চলে হতদরিদ্রদের সংখ্যা বাড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। এবার ঈদে রংপুরের অলিগলিতে ছিন্নমূল আর হতদরিদ্রের ভিড় ছিল অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় বেশি দেখা গেছে। সুশাসনের জন্য নাগরিক, সুজন বলছে, দারিদ্র্যের সব সূচক থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে উন্নত রাষ্ট্রের স্বপ্ন ফিকে হয়ে যাবে।
তার মতো রংপুরের অলিগলিতে মাংস সংগ্রহকারীর সংখ্যাটা এবার অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় বেশি। বছরের এই একটি সময় গরুর মাংস খাওয়ার সুযোগ হয় অনেকের। তাই কাঙ্ক্ষিত এক টুকরো মাংসের জন্য অপেক্ষা দীর্ঘ সময়ের। কোথাও অপেক্ষার অবসান হলেও রীতিমত যুদ্ধ করতে হয়েছে মাংসের জন্য।
রংপুর মহানগর সুশাসনের জন্য নাগরিক, সুজন সভাপতি ফখরুল আনাম বেঞ্জু বলছেন, কোরবানির ঈদে মাংস সংগ্রহকারী ছিন্নমূল আর হতদরিদ্রের সংখ্যা বেড়েছে। করোনার গত দুই বছরে দারিদ্র্য সীমার নিচে চলে গেছে এদের অনেকেই। দারিদ্র্যের সব সূচক কমাতে না পারলে বৈষম্য বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা সুজন সভাপতির।
/এডব্লিউ
Leave a reply