এরদোগান প্রশাসনের একান্ত উদ্যোগে এক টেবিলে বসেন রাশিয়া-ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা প্রতিনিধিরা। পুরোপুরি আপস না হলেও বৈশ্বিক খাদ্য সংকট মোকাবেলায় সমঝোতায় পৌঁছেছে রাশিয়া-ইউক্রেন। যৌথ সমন্বয় কেন্দ্রের নজরদারিতে যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকা থেকে রফতানি হবে শস্য এবং খাদ্যপণ্য। মধ্যস্থতাকারী তুরস্ক নিশ্চিত করেছে, আগামী সপ্তাহেই হবে চুক্তিসই। এদিকে জাতিসংঘ বলছে, ওডেসা বন্দরেই আটকা পড়ে আছে ২ কোটি টনের বেশি শস্য। বিবদমান পক্ষগুলোর মধ্যে সমঝোতা হলে লাভবান হবে গোটা বিশ্ব।
তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হুলুসি আকার বলছেন, কারিগরি ইস্যুতে সমঝোতায় পৌঁছেছে যুদ্ধরত পক্ষগুলো। যার অন্যতম যৌথ সমন্বয় কেন্দ্র গঠন। বন্দরগুলোর নিরাপত্তা এবং শস্য ও খাদ্যপণ্য সরবরাহ করা জাহাজগুলোর সুরক্ষা দেবে তারা। আঞ্চলিক শান্তি প্রণয়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তুরস্ক যাতে সমর্থন যোগাচ্ছে জাতিসংঘ। আগামী সপ্তাহেই চুক্তিসইয়ের প্রত্যাশার কথা জানান তিনি।
কূটনৈতিক অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলছেন, রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্যেই হলো সমঝোতা আলোচনা। প্রতিদিনই মানুষ মারা যাচ্ছে, ইউক্রেনে চালানো হচ্ছে আগ্রাসন। তবুও বৈশ্বিক খাদ্য সংকট নিরসনে ইস্তাম্বুলের মধ্যস্থতায় হলো সংলাপ। বিশ্ব যখন অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে সেসময় এ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে আশার আলো। রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে চুক্তি হলে লাভবান হবে গোটা বিশ্ব।
তুরস্ক ফরেইন পলিসি ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট হুসেইন বাগশি মনে করেন, জাহাজগুলোর মাধ্যমে ইউক্রেনকে অস্ত্র পাঠানো হবে না। কারণ নিরপেক্ষ তুরস্ক এবং জাতিসংঘ পুরো বিষয়টি নজরদারি করবে। খোলা চোখে দেখলে সমুদ্রপথে নৌযানগুলোয় হামলা চালাতে পারে রাশিয়া। কিন্তু সেটার আদতে কোনো প্রয়োজন নেই। কারণ ওডেসা বন্দর রুশ সেনাবহরের দখলে। এটা দুদেশের যুদ্ধ নয় বরং আন্তর্জাতিক কূটনীতি।
প্রসঙ্গত, ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া সামরিক অভিযান শুরু করলে কৃষ্ণ সাগরে বন্ধ হয়ে যায় বাণিজ্য। স্থবির হয়ে পড়ে ইউক্রেনীয় বন্দরগুলো। অথচ যুদ্ধ শুরুর আগে প্রতিমাসে সাড়ে ৪ কোটি টন কৃষিপণ্য রফতানি করতো ইউক্রেন। জাতিসংঘ বলছে, চলমান যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে খাদ্যপণ্যের দাম অন্তত ৩০ শতাংশ বেড়েছে।
/এডব্লিউ
Leave a reply