খুলনায় গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন: মামলা না নিয়ে সালিশ ডেকেছেন ওসি

|

খুলনায় দশম শ্রেণি পড়ুয়া সন্তানের সামনে প্রকাশ্যে মাকে বিবস্ত্র করে গাছের সাথে বেঁধে অমানুষিক
নির্যাতন চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১১ জুলাই খুলনার কয়রা উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নে
ঘটনাটি ঘটে।

গুরুতর অবস্থায় নির্যাতিত গৃহবধূকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করার পর সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। র্বতমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।

মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে হার মানানো এই ঘটনার পাঁচদিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ নির্যাতিত পরিবারের অভিযোগ আমলে নেয়নি। বিষয়টি মীমাংসার জন্য নির্ধারিত দিন দিয়েছেন থানার ওসি।

এর আগে, ঈদের পরদিন সকালে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কয়রা উপজেলার গিলাবাড়ি কুচিরমোড়ে গফ্ফার গাজির ৬৪ শতক জমি দখল করতে যায় মহেশ্বরীপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারির লোকজন। এসময় গফ্ফার গাজির মেয়ে তাদের বাধা দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে দখলকারীরা।

এক পর্যায়ে তারা তাকে টেনে হিঁচড়ে বাড়ির বাইরে নিয়ে দড়ি দিয়ে প্রথমে গাছের সাথে বাঁধে। পরবর্তীতে তাকে বিবস্ত্র করে। দীর্ঘ সময় নিয়ে শতাধিক মানুষের সামনে বর্বরোচিত ঘটনা ঘটলেও ভয়ে কেউ
গৃহবধূকে রক্ষা করতে আসেনি।

দীর্ঘদিন ধরে ৬৪ শতক জমি নিয়ে স্থানীয় খালেক গাজী, আফফার গাজী, লিয়াকত গাজী, শফিকুল ও শাখাওয়াত গাজীর সাথে বিরোধ চলছিল গফ্ফার গাজীর। বিরোধের জের ধরে নির্যাতিত গৃহবধূকে এর আগেও তারা মারধর করে।

ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে মামলার সিদ্ধান্ত নেয় ভুক্তভোগী পরিবার। এরজন্য তারা উপজেলা সদর ইউপি
চেয়ারম্যান বাহারুল ইসলামের শরনাপন্ন হন। সাত হাজার টাকাও দেয়া হয় ওই চেয়ারম্যানকে। কিন্তু মামলা আর হয়নি। এদিকে ভুক্তভোগী পরিবার জানিয়েছে, ঘটনার পর থেকে মহেশ্বরীপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারির লোকজন তাদেরকে হুমকি দিচ্ছে।

যদিও এসবই অস্বীকার করেছেন চেয়ারম্যান। এ ব্যাপারে ওসি এ বি এম এফ দোহার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

/এনএএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply