৩৬১ তাড়া করে ১ রানের আক্ষেপে পুড়লো আইরিশরা

|

ছবি: সংগৃহীত

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের সবগুলো জয়েরই হাতছানি ছিল আয়ারল্যান্ডের সামনে। তবে জয়ের সবচেয়ে কাছাকাছি চলে গিয়েছিল শেষ ওয়ানডেতে। এদিন ১ রানের আক্ষেপে পুড়ে হোয়াইটওয়াশ হয় আইরিশরা।
প্রথমে ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে নিউজিল্যান্ডের রান দাঁড়ায় ৩৬০। যার জবাবে আয়রল্যান্ড তুলতে পারে ৩৫৯ রান।

আয়ারল্যান্ডের ঘরের মাঠ ডাবলিনে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড। ওপেনিং জুটিতেই মার্টিন গাপটিল ও ফিন অ্যালেন মিলে তুলেন ৭৮ রান। ৩৩ করে অ্যালেনের আউটের পর ব্যক্তিগত ৩ রান করে আউট হন উইল ইয়ংও। তবে আরেক প্রান্তে অবিচল ছিলেন গাপটিল। তৃতীয় উইকেট জুটিতে অধিনায়ক টম ল্যাথামকে নিয়ে গড়েন ৬৬ রানের জুটি। দলীয় ১৪৬ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৩০ রান করে বিদায় নেন ল্যাথাম। এরপর চতুর্থ উইকেটে হেনরি নিকোলসের সাথে ৯৬ রানের জুটি গড়েন গাপটিল। এরইমধ্যে নিজের সেঞ্চুরিও পূর্ণ করেন কিউই এই ওপেনার।

তবে দলীয় ২৪২ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১১৫ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন গাপটিল। শেষ পর্যন্ত হেনরি নিকোলসের ঝড়ো ৫৪ বলে ৭৯, গ্লেন ফিলিপসের ৩০ বলে ৪৭ ও সিরিজ কাঁপানো মাইকেলে ব্রেসওয়েলের ২১ রানে ৩৬০ রানের বিশাল সংগ্রহ তোলে নিউজিল্যান্ড।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে কোনো রান না করেই সাজঘরের পথ ধরেন অধিনায়ক অ্যান্ডু বালবিরিনি। দ্বিতীয় উইকেটে অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনকে সাথে নিয়ে ৫৫ রানের জুটি গড়েন ওপেনিংয়ে নামা পল স্টার্লিং। ৬২ রানের মাথায় ম্যাকব্রাইনের বিদায়ের পর হ্যারি টেকটরের সাথে গড়েন ১৭৯ রানের জুটি। সেঞ্চুরি করেন স্টার্লিং ও টেকটর দুজনই। তবে শেষদিকের ব্যাটাররা কেউ তেমন হাল ধরতে পারেনি।

শেষ ওভারে আয়ারল্যান্ডের দরকার ছিল ১০ রান। প্রথম ৩ বলে ৫ রান নিলে তৈরি হয় উজ্জ্বল সম্ভাবনা। তবে চতুর্থ বলে ১ রান সম্পূর্ণ করতে পারলেও রান আউট হন ইয়ং। পঞ্চম বলে ১ রান নিলে শেষ বলে দরকার হয় ৩ রানের। তবে সেটি তুলতে পারেননি আইরিশ ব্যাটার হিউম।

জেডআই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply