যাবজ্জীবন সাজার আসামি নব্বইয়ের দশকের আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী তোফায়েল আহমেদ জোসেফ রাষ্ট্রপতির ক্ষমায় মুক্তি পেয়েছেন। কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার মো. জাহাঙ্গীর কবির আজ বুধবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, গত রোববার আদেশ পাওয়ার পর ওইদিনই জোসেফকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
দুই দশক কারাগারে থাকার পর মুক্তি পেয়ে জোসেফ ইতোমধ্যে ভারতে পাড়ি জমিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ সূত্র।
এ বিষয়ে আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, শীর্ষ সন্ত্রাসী জোসেফের মার্সি পিটিশনে অনুমোদন দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। তিনি (জোসেফ) অসুস্থ ছিলেন। তাই চিকিৎসার জন্য সাজা মওকুফ করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জোসেফের দেশত্যাগের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জোসেফ ২০ বছর কারাভোগের পর সাজা মওকুফের আবেদন করলে সেই আবেদনটি রাষ্ট্রপতি তা মঞ্জুর করেছেন। গুরুতর অসুস্থ থাকায় জোসেফের করা এক বছর তিন মাস সাজা মাফের মার্সি পিটিশন রাষ্ট্রপতি অনুমোদন করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘জোসেফের কিছু অর্থদণ্ড ছিল সেগুলো আদায় সাপেক্ষে তাকে বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করার অনুমতি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।’
রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী জোসেফকে ১৯৯৯ সালের একটি হত্যাকাণ্ডের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। এ রায়ের বিরুদ্ধে জোসেফ আপিল করলেও মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট। পরে আপিল বিভাগ এ সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। কারাগারে বন্দি জোসেফ চিকিৎসার জন্য ২০ মাস ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের কারাকক্ষে ছিলেন।
Leave a reply