স্টাফ রিপোর্টার:
পটুয়াখালীর বাউফলে যাত্রীবাহী দু’টি লঞ্চের ধাক্কায় পল্টুনে দাঁড়িয়ে থাকা নারী, শিশু বৃদ্ধসহ ৭জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে একই পরিবারের ৩জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিমে পাঠানো হয়েছে।
রোববার (১৭ জুলাই) বিকেল সোয়া ৬টার দিকে বাউফল উপজেলার ধুলিয়া লঞ্চঘাটে এ ঘটনা ঘটে। বাউফল-ঢাকাগামী এমভি ধুলিয়া ও এমভি বন্ধন নামের দু’টি লঞ্চের ধাক্কায় এ ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন বাউফল থানার ওসি আল মামুন।
তিনি জানান, আমরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত কেউ মারা যায়নি সেটি মোটামুটি নিশ্চিত হওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে যাদেরকে বরিশালে পাঠানো হয়েছে তারা উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের মমিনপুর গ্রামের কোব্বাত আলী গাজীর ছেলে আশ্রাফ আলী গাজী (৫০), তার ছেলে মেহেদি হাসান এবং মেহেদি হাসানের ২বছর বয়সী মেয়ে মার্জিয়া। এদের মধ্যে মার্জিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. গোলাম মুস্তাহিদ তাসরিফ নিশ্চিত করেছেন।
ডা. গোলাম মুস্তাহিদ জানান, অন্যান্য আহতরা হলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ফারজানা, রোজিনা, রিয়া বেগম এবং সজিব হোসেন। এদের সকলের বয়স ১৬-৩২বছরের মধ্যে। এদের শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে জখম হয়েছে। এ জন্য তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আহত মার্জিয়ার বাবা মেহেদি হাসান জানান, ঈদ পালন করে বাবা ও মেয়েকে নিয়ে ঢাকা যাওয়ার জন্য বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে ধুলিয়া লঞ্চঘাটের পল্টুনে অপেক্ষা করছিল। বিকেল সাড়ে ৫টার মধ্যে পুরো পল্টুন যাত্রীদের ভিড়ে একাকার হয়ে গেছিল। ৬টা থেকে সোয়া ৬টার মধ্যে কালাইয়া থেকে এমভি ধুলিয়া ও এমভি বন্ধন নামের দু’টি লঞ্চ ঘাটের কাছাকাছি আসলে আমরা দূরে গিয়ে দাঁড়ায়। কে আগে ঘাটে ভিড়বে এই নিয়ে লঞ্চ দু’টি সজোরে এসে পল্টুনে ধাক্কা দিলে লঞ্চের সম্মুখ অংশের সাথে লেগে আমরা আহত হয়। এসময় মার্জিয়া আমার কোল থেকে ছিটকে দূরে পড়লে ও বেশি আহত হয়। পরে আমার বাবা আহত অবস্থায় সার্জিয়াকে কোলে তুলে নিলে আমাদেরকে সবাই উদ্ধার করে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ ব্যপারে পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহেদ আহমেদ চৌধুরী জানান, ঘটনাস্থলে বাউফল থানার ওসিকে পাঠানো হয়েছে। তাছাড়া বরিশাল মেডিকেলেও আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি। আহতদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
/এনএএস
Leave a reply