সিইসির বক্তব্যে চটেছেন বিএনপি নেতারা, তুললেন গ্রেফতারের দাবি

|

সিইসি'র বক্তব্যে বিএনপি নেতাদের তীব্র প্রতিক্রিয়া।

তলোয়ারের জবাবে রাইফেল নিয়ে আসার কথা বলায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ওপর ভীষণ চটেছেন বিএনপি নেতারা। সিইসিকে গ্রেফতারের দাবিও জানিয়েছেন কয়েকজন নেতা। তারা বলেছেন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে থেকে সিইসি এ ধরনের বক্তব্য দিতে পারেন না। এ বক্তব্য নির্বাচনকে আরও সহিংস করে তুলবে বলেও মনে করেন বিএনপি নেতারা। তারা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ইসির সংলাপ লোক দেখানো প্রহসন; বৈধতা নেয়ার কৌশল।

মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) রাজধানীতে আলাদা দুটি অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতারা বলেন, সরকার না চাইলে কোনো ইসির পক্ষেই সুষ্ঠু নিবার্চন সম্ভব নয়; তাই দলীয় সরকারের অধীনে ভোটে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় বিএনপি।

জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু করেছে ইসি। রোববার (১৬ জুলাই) থেকে শুরু হওয়া এ সংলাপ চলবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত। বিএনপি বলছে, এসব মানুষকে বিভ্রান্ত করার সরকারি অপচেষ্টা। আর সবই করা হচ্ছে সরকারের দেয়া ফর্মুলা মতো। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ বলেন, এটা লোক দেখানো প্রহসন মাত্র, যে আমি সবাইকে ডেকে কথা বলছি। বৈধতা নেয়ার কৌশল মাত্র। এবার নিশ্চয়ই তাদের অন্য ধরনের পরিকল্পনা আছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ম্যানেজার হচ্ছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

সংলাপের প্রথম দিনে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তলোয়ারের বিপরীতে রাইফেল নিয়ে আসার কথা বলায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের তীব্র সমালোচনা করেন বিএনপি নেতারা। সিইসিকে গ্রেফতার করে বিচারের দাবিও তোলেন বিএনপির সিনিয়র অনেক নেতা। ঢাকা দক্ষিণ সিটি বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেন, এই কথার পরে তো তাকে (সিইসি) গ্রেফতার করা উচিত। তাকে আইনের আওতায় আনা উচিত। এতদিন আওয়ামী লীগ আমাদের ওপর গুলি চালিয়েছে। আর এবার তো উনি গুলির লাইসেন্সই দিয়ে দিলেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, তলোয়াড় নিয়ে আসলে রাইফেল নিয়ে প্রতিহত করতে হবে- এই কথার মানে কী? আগে ছিলেন নুরুল হুদা। আর এখন যে আসছে তার বুদ্ধি নাই। তলোয়াড় তো সেই কবেই চলে গেছে!

আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনে পদত্যাগ করবো: সিইসি

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply