নির্বাচন নিয়ে আমরা একটি সংকটের মধ্যে পড়ে গেছি: সিইসি

|

নির্বাচনী সংলাপের দ্বিতীয় দিনে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল।

বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে তা আদৌ কোনো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে কিনা, তা নিয়ে সন্দিহান নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন নিয়ে ইসি একটি সংকটের মধ্যে পড়ে গেছে।

দ্বিতীয় দিনের সংলাপে সোমবার (১৮ জুলাই) এসব কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। এ সময় নির্বাচনকালীন সরকার ও ইসির ক্ষমতা নিয়ে কয়েকটি প্রস্তাব দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচন ইস্যুতে বিএনপির দাবি আলোচনা বা সংগ্রমের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দলগুলো চাইলে সবকিছুই সম্ভব। সংবিধান এক্ষেত্রে বাধা নয়।

নির্বাচনী সংলাপের দ্বিতীয় দিনে অংশ নেয় নিবন্ধিত চার রাজনৈতিক দল। নির্বাচনকালীন সময়ে ইসির ক্ষমতা বাড়ানোর পক্ষে দলগুলো। তবে ইভিএম নিয়ে বিরোধী মতও রয়েছে তাদের। বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যফ্রন্টের মহাসচিব মাওলানা এম এম মতিন বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার বা সর্বদলীয় সরকার, এরা অনির্বাচিত ব্যক্তি। তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। যেহেতু দায়বদ্ধতা নেই, জবাবদিহিতা নেই; তারা কিন্তু যেকোনো কাণ্ড করতে পারে।

খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের বলেন, স্বরাষ্ট্র, তথ্য, আইন মন্ত্রণালয়সহ নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও মাঠ পর্যায়ে নিয়োজিত প্রশাসন যারা নির্বাচন পরিচালনা করবেন, তাদেরকে নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকতে হবে।

বিএনপি নির্বাচনে না আসার সিদ্ধান্তে অটল অনেকদিন থেকেই। সিইসি বলেন, তাদের এই সিদ্ধান্তের পক্ষে বা বিপক্ষে ইসির কোনো মন্তব্য নেই। কাউকে বাধ্য করার সুযোগও নেই। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, বিএনপি যদি আওয়ামী লীগের সাথে সমঝোতায় উপনীত হয়ে বা স্বীয় সক্ষমতা বলে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে একটি অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারে তাতে আমার বা আমাদের অসন্তুষ্টির কোনো কারণ থাকতে পারে না। নির্বাচনকালীন সরকারের পক্ষে বা বিপক্ষে আমাদের কোনো অবস্থান নেই।

সিইসি বলেন, ইসির ক্ষমতা অনেক। সেটা অতীতের চেয়ে বেশিমাত্রায় প্রয়োগ করতে চায় বর্তমান কমিশন। তবে নির্বাচনকালীন সরকারের ব্যবস্থা দলগুলোকেই করতে হবে। এক্ষেত্রে পারষ্পরিক আলোচনার তাগিদ দেন তিনি। কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, রাজনীতিবিদরা যদি সমঝোতায় উপনীত হয়ে ভিন্ন কোনো পন্থা অবলম্বন করেন, আমাদের কোনো আপত্তি থাকবে না। সেটা আইন ও সংবিধানের মাধ্যমেই করতে হবে।

সিইসি বলেন, রোববারের আলোচনায় তলোয়াড় ও রাইফেলের প্রসঙ্গটি কেবল প্রতীকী অর্থেই এসেছে। অস্ত্রসহ প্রতিহত করতে বলা হয়নি।

আরও পড়ুন: সিইসির বক্তব্যে চটেছেন বিএনপি নেতারা, তুললেন গ্রেফতারের দাবি

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply