তুরস্কের নজরদারিতে কৃষ্ণ সাগর দিয়ে ইউক্রেনের শস্য পরিবহনের ব্যাপারে রাশিয়াকে রাজি করানো ইস্যুতে তেহরানে একত্রিত হওয়ার কথা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগান এবং ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসির। নানা ইস্যুতেই পশ্চিমা বিরোধী অবস্থান স্পষ্ট তিন দেশের নেতারই। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেন ইস্যুটি কেবল আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। তিন নেতার লক্ষ্য নিজেদের স্বার্থ আদায়, যা তাদের পশ্চিমা বিরোধী অবস্থানকে আরও সুসংহত করবে।
রাইখম্যান ইউনিভার্সিটির ইরান বিষয়ক বিশ্লেষক মেইর জাভেদানফার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তুরস্ককে প্রতিশ্রুত এফ সিক্সটিন যুদ্ধবিমান দেয়নি। সেই জবাব দিতেই রাশিয়ার আরও ঘনিষ্ট হলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান। অন্যদিকে কৃষ্ণসাগরে নিজের নিয়ন্ত্রণ জোরালো করার পাশাপাশি ইউরোপকে দুর্বল করতে আঙ্কারার সাথে সম্পর্ক জোরদার করতে চাইছে মস্কো। ফলে এটা স্পষ্ট যে দুই দেশই পশ্চিমের বিরুদ্ধে একজোট হতে চাইছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক জেফরি ম্যানকফের মতে, তুরস্ক ড্রোন সরবরাহ করেছে ইউক্রেনকে, যেগুলো দিয়ে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে বড় প্রতিরোধ গড়ে তোলা গেছে। রাশিয়া চাইছে না তুরস্ক আর নতুন করে ড্রোন সরবরাহ করুক ইউক্রেনকে। তাই মস্কো বিভিন্ন সহযোগিতার হাত বাড়াবে তুরস্কের দিকে।
আরও পড়ুন : সিরিয়ায় হামলা চালানোর ব্যাপারে এরদোগানকে সতর্ক করেছেন খামেনি
যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়াকে কেন্দ্র করে ইরানের জন্য বড় হুমকি ইসরায়েল। তাই তেলআবিবকে ঠেকাতে মস্কোকে পাশে চায় তেহরান। অন্যদিকে, কুর্দি বিদ্রোহীদের দমাতে মস্কো এবং তেহরানকে পাশে রাখার বিকল্প নেই আঙ্কারার।
জাভেদানফার মনে করেন, ইরান চাইছে সিরিয়ায় তার সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে। এটার কারণ মূলত ইসরায়েল। কারণ, সিরিয়াকে ঘিরে ইসরায়েল নিজের সামরিক অবস্থান জোরালো করেছে। সে কারণেই রাশিয়ার মুখাপেক্ষী ইরান।
তিন দেশ আনুষ্ঠানিক কোনো জোটে না গেলেও সামরিক, অর্থনৈতিক ও ভৌগলিক ইস্যুতে একমত হলে তা পশ্চিমা জোটের মাথাব্যাথার কারণ হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
জেডআই/
Leave a reply