শুধু মাদক নয়, অস্ত্র ও চোরাচালানে জড়িয়ে পড়েছে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গারা। তাদের নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে প্রায়ই নিরাপত্তাহীন হয়ে ওঠে ক্যাম্প ও ক্যাম্পের পার্শ্ববর্তী অঞ্চল।
বুধবার (২০ জুলাই) রাজধানীতে ‘রোহিঙ্গা ও মাদক-সন্ত্রাস’ বিষয়ক সেমিনারে বক্তারা বলেন, রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে মিয়ানমারের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অপেক্ষায় আছে বাংলাদেশ।
নির্যাতন-নিপীড়নের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়া আসা রোহিঙ্গাদের মানবিক বিবেচনায় আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে ততোই, ক্যাম্পের ভেতরে বাইরে বেপরোয়া হয়ে উঠছে তারা। রক্তপাত আর সংঘাত-সহিংসতার পাশাপাশি মাদক ও অস্ত্র চোরাচালানের মত অপরাধে লিপ্ত অনেকে। সব মিলিয়ে রোহিঙ্গাদের কারণে বহুমাত্রিক সংকটে বাংলাদেশ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এগিয়ে আসার এটিই প্রকৃত সময়।
পরিস্থিতি উত্তরণে তাদের উৎপাদনমুখী কাজে যুক্ত করার কথা পরামর্শ দিয়েছেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন। তার মতে, এই ইস্যুতে জাতিসংঘের আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখা উচিত।
প্রায় ৫ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত একজনকেও ফেরত নেয়নি মিয়ানমার। দ্বিপাক্ষিক নানা উদ্যোগ থাকলেও তা কাজে আসছে না খুব একটা। দায়িত্বশীলরা বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সৃষ্টি করেছে মিয়ানমার। তাই সমাধানও করতে হবে তাদেরকেই। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সৃষ্টি করেছে মিয়ানমার। আমরা বিশ্বাস করি, এর সমাধানও তারাই করবে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে মিয়ানমার তাদের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করলে সেটাই হবে এর স্থায়ী সমাধান।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, কোনো ধরনের মাদক উৎপাদন না করেও মিয়ানমারের কারণে পরিস্থিতির শিকার হচ্ছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: মহামারি মোকাবেলা ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বৈশ্বিক সহযোগিতার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
/এম ই
Leave a reply