রনিল ক্ষমতা নেয়ার পর আরও জোরালো হয়েছে শ্রীলঙ্কার গণআন্দোলন

|

কোনো কিছুতেই যেন অবসান হচ্ছে না শ্রীলঙ্কা সংকটের। রনিল বিক্রমাসিংহের ক্ষমতাগ্রহণে বরং আরও জোরালো হয়েছে আন্দোলন। পার্লামেন্ট ভবন ঘিরে চলছে হাজারও মানুষের বিক্ষোভ। আন্দোলনকারীরা বলছেন, কিছু মানুষের ভোটে নির্বাচিত রনিল মূলত রাজাপাকসে পরিবারের পুতুল। তাদের দাবি, প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের পাশাপাশি গোটা সরকারব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে হবে। জরুরি পণ্য সংকটে নিতে হবে কার্যকর উদ্যোগ।

রাজাপাকসে পরিবারের পতন, নতুন প্রধানমন্ত্রী এমনকি প্রেসিডেন্টের দেশত্যাগের পর নির্বাচন। এতো নাটকীয়তার পরও কোনো কিছুতেই থামছে না শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক সংকট। যা ছাপিয়ে গেছে দেশটির অর্থনৈতিক সংকটকেও।

বুধবার (২০ জুলাই) রনিল বিক্রমাসিংহে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পার্লামেন্ট ভবন ঘিরে আন্দোলনে নামে হাজারও মানুষ। এতোকিছুর পরও থামছে না কেন গণআন্দোলন? এমন প্রশ্নে বিক্ষোভকারীরা বলছেন, বারবার নির্বাচিত সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী মূলত দুর্নীতিগ্রস্ত রাজাপাকসে পরিবারেরই কাঠের পুতুল।

নির্বাচিত হওয়ার পর নানামুখী সংস্কারের ঘোষণা দিলেও তাকে বিশ্বাস করতে পারছে না সাধারণ লঙ্কানরা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, রনিল ক্ষমতায় থাকলে দেশের সংকট আরও বাড়বে।

তবে রনিল বলছেন, তিনি মোটেও রাজাপাকসের বন্ধু নন। আমি এখন জনগণের বন্ধু। কোনো দলের স্বর্থে নয় দেশের মানুষের উন্নয়নের জন্য চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গার মতো কাজ করে যেতে চাই। দেশবাসীর জীবন মান পরিবর্তন করতে চাই। এ জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।

চলতি বছরের শুরু থেকেই চরম অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে দ্বীপরাষ্ট্রটি। দেশটির ব্যবহারযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নামে তলানিতে। যার কারণে, বন্ধ হয়ে যায় তেল, গ্যাস, খাদ্য এমনকি জীবনরক্ষাকারী ওষুধ আমদানি। অস্বাভাবিক মূল্যস্ফীতির কারণে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে বহুগুণ।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply