সন্তানের ওপর রেগে যাচ্ছেন? সামলাবেন যেভাবে

|

সন্তানের কর্মকাণ্ডে কখনও কখনও বাবা-মায়ের পক্ষে রাগ-অভিমান নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। এছাড়া, অনেক সময় রাগ ও জেদের বশে সন্তানকে বাবা-মায়েরা এমন কথা বলে বসেন, যাতে ক্ষতি হতে পারে সন্তানেরই। তাই মানসিক টানাপড়েন কীভাবে সামলাতে হবে, জেনে নেয়া যাক।

• সন্তানের রাগ-অভিমান কমাতে গিয়ে পিতা-মাতার রাগারাগি করলে চলবে না। সন্তান যতই চঞ্চল হোক, অভিভাবকদের ধৈর্য ধরতেই হবে। সন্তান রাগ করার মতো কিছু করলেও সঙ্গে সঙ্গে তাকে বকাঝকা করা উচিত নয়। সমস্যা আরও জটিল হতে পারে। বরং পরে শান্ত হয়ে সন্তানের সাথে কথা বরা উচিত।

• অনেক সময় সন্তান কী বলতে চাইছে তা শোনতে চান না বাবা-মা। সন্তানের কথা শুনুন মন দিয়ে। শিশুদের যুক্তিবোধ বড়দের মতো না হওয়াই স্বাভাবিক। তাই তাদের পক্ষে সব কিছু বুঝিয়ে বলা কঠিন। সন্তান কিছু বলতে চাইলে তাকে ধীরে ধীরে বুঝিয়ে বলার সুযোগ দিন। অল্প অল্প করে বললেও রাগ, দুঃখ, অভিমানের সব কথা শুনুন মন দিয়ে।

• বোঝার চেষ্টা করতে হবে, সন্তান কেন রাগ করছে। কোন কোন বিষয়ে সন্তান রেগে যাচ্ছে তা বোঝার চেষ্টা করুন। বিশেষজ্ঞরা এই বিষয়গুলোকে ‘ট্রিগার পয়েন্ট’ বলে থাকেন। সন্তান অবুঝ হলেও বাবা-মা অস্থির হলে চলবে না। পাশাপাশি সন্তানকেও দিতে হবে সহানুভুতির শিক্ষা।

• অনেক সময়ে ঝক্কি এড়াতে সন্তানের অন্যায় আবদার মেনে নেন বাবা-মা। কিন্তু এতে সমস্যা বাড়ে, কমে না। কাজেই অযথা সন্তানের অন্যায় আবদারে প্রশ্রয় নয়। সন্তানের রাগ ও দুর্ব্যবহারও মেনে নেবেন না। শান্ত হয়ে ধীরে ধীরে বোঝান সন্তানকে।

• বাবা-মায়ের দৈনন্দিন আচার ব্যবহারের ছাপ অনেক সময়ে সরাসরি সন্তানের ওপর পড়ে। কাজেই অভিভাবক যদি বদমেজাজি হন, তবে তার প্রভাব পড়তে পারে সন্তানের ওপরেও। ফলে বাবা-মাকেই হতে হবে উদাহরণ। বিশেষত বাবা-মায়ের পারস্পরিক সম্পর্কের টানাপড়েনের আঁচ সন্তানের ওপর পড়লে তার প্রভাব হয় দীর্ঘস্থায়ী। কাজেই সন্তানের সামনে ঝগড়া করার আগে সতর্ক হতে হবে।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply