সোনার চামচ মুখে দিয়ে জন্মগ্রহণ করেননি মিঠুন চক্রবর্তী। বলিউডে যখন তার পায়ের তলার মাটিও ছিল না, তখন অনেকবার নাকি আত্মহত্যা করার কথাও ভেবেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
খবর বলা হয়, সম্প্রতি দিল্লির এক সংবাদ সম্মেলনে মিঠুন ফিরে যান তার ক্যারিয়ারের শুরুর দিনগুলোতে। তিনি বলেন, আমি সাধারণত এ সম্পর্কে খুব বেশি কথা বলি না। এমন কোনো নির্দিষ্ট পর্বও নেই, যা আমি উল্লেখ করতে চাই। কারণ সবাই সংগ্রাম করে, নিজেকে সে ক্ষেত্রে বিশেষ করে দেখানোর কোনো ইচ্ছা নেই। কিন্তু সত্যি বলতে কি, আমার সংগ্রাম ছিল সীমাহীন। মাঝেমাঝে ভাবতাম, আমি পারবো তো? এমনকি ব্যর্থতার ভয়ে আত্মহত্যা করার কথাও ভাবতাম।
১৯৭৬ সালে ‘মৃগয়া’ ছবিতে অভিনয়ে অভিষেক হয় মিঠুনের। সেরা অভিনেতা নির্বাচিত হয়ে শুরুতেই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। ঝুলিতে ‘ডিস্কো ডান্সার’, ‘নিরাপত্তা’, ‘সাহস’, ‘ওয়ারদাত’, ‘ওয়ান্টেড’, ‘বক্সার’, ‘জল্লাদ’ এবং ‘অগ্নিপথ’-এর মতো একের পর এক ছবি। ‘তাহাদের কথা’ (১৯৯২) এবং ‘স্বামী বিবেকানন্দ’(১৯৯৮) ছবি দু’টি তাকে এনে দিয়েছিল আরও দু’টি সম্মান।
মিঠুনকে শেষ দেখা গিয়েছিল বিবেক অগ্নিহোত্রীর ছবি ‘দ্য কাশ্মির ফাইলস’-এ। ১৯৯০-এর দশকে কাশ্মিরি হিন্দুদের গণহত্যা এবং কাশ্মির উপত্যকা থেকে তাদের উচ্ছেদের কাহিনি নিয়ে এই ছবি মুক্তির দু’সপ্তাহের মধ্যে বক্স অফিস থেকে ২০০ কোটি টাকা আয় করেছিল। পরবর্তী ছবি নিয়েও একইভাবে আশাবাদী মিঠুন।
ইউএইচ/
Leave a reply