শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসের প্রেসিডেন্ট ভবনে হানা দিয়ে বহু মূল্যবান দ্রব্যাদি চুরি করে নেয় বিক্ষোভকারীরা। এর মধ্যে ৪০টি স্বর্ণে মোড়া তামার সকেট বিক্রির সময় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে শ্রীলঙ্কার পুলিশ। স্থানীয় সময় রোববার (২৪ জুলাই) তাদের গ্রেফতার করা হয়। খবর এনডিটিভির।
শ্রীলঙ্কার বর্তমান বিধ্বস্ত অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে গত ৯ জুলাই বিক্ষোভকারীরা রাজাপাকসের প্রেসিডেন্ট ভবনের পাশাপাশি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমানের প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের বাড়ি দখলে নেয়। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ভাঙচুরের পাশাপাশি অগ্নিসংযোগও করে ক্ষুব্ধ জনতা। ওই সময় গ্রেফতারকৃত তিন ব্যক্তিও প্রেসিডেন্টের বাসভবনে প্রবেশ করেছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ সময় জানালায় পর্দা ঝোলানো জন্য স্বর্ণে মুদ্রিত তামার ৪০টি সকেট চুরি করে নেয় তারা। এগুলোকে বিক্রি করতে যাওয়ার সময়ই তাদের হাতেনাতে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, গ্রেফতারকৃতরা রাজাগিরিয়ার ওবেসেকারাপুরার বাসিন্দা। তাদের বয়স যথাক্রমে ২৮,৩৪ ও ৩৭ বছর। এই তিন ব্যক্তি মাদকাসক্ত বলেও জানায় পুলিশ। তাদেরকে কলম্বো (উত্তর) অপরাধ তদন্ত বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হবে। প্রেসিডেন্ট ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে বিক্ষোভকারীর আক্রমণের ঘটনাটির তদন্তভার এখন এই বিভাগের ওপরই।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই ঘটনায় স্বর্ণের সকেটের পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন থেকে বিরল প্রত্নতত্ত্ব সামগ্রীসহ মূল্যবান প্রায় ১ হাজারটি জিনিসপত্র চুরি করা হয়েছে। চুরি যাওয়া এসব সামগ্রীর বিস্তারিত তালিকা আপাতত তদন্তকারীদের হাতে নেই। তবে সেগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে তারা।
এনিয়ে নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বিক্রমাসিংহে বলেছেন, আমি বিক্ষোভকারীদের শান্তিপূর্ণভাবে তাদের বিক্ষোভ করার অধিকারকে সম্মান করি। তবে কোনো সরকারি ভবন আর তাদেরকে দখল করতে দেয়া হবে না। তিনি জানান, জনগণের নিরাপত্তায় বাধা সৃষ্টি করা এবং সংসদের কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো ঘটনা রুখতে শ্রীলঙ্কার সশস্ত্র বাহিনী এবং পুলিশকে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সরকারি ভবন দখলকে বেআইনি উল্লেখ করে দখলকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন বিক্রমাসিংহে।
এসজেড/
Leave a reply