সার আমদানি করতে হবে: কৃষিমন্ত্রী

|

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। ফাইল ছবি।

গ্যাস সংকটে যমুনাসহ দুইটি সার কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। শিগগিরই গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা না থাকায় সার আমদানি করতে হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।

মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, সারের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয়নি, আলাপ-আলোচনা চলছে। প্রধানমন্ত্রী চাচ্ছেন কোনোভাবে যেন দাম বাড়াতে না হয়।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সার নিয়ে সংকট তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সার আমদানির বিষয়ে কানাডার সাথে কথা হয়েছে। আগামী বোরো মৌসুম পর্যন্ত সারের সমস্যা হবে না। সারের সরবরাহ নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে সরকার। বৈদেশিক মুদ্রার ওপর চাপ বাড়ায় বেশি দামে সার কিনতে হবে। তাই অব্যাহত থাকবে ভর্তুকিও।

কৃষিমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, উন্নত দেশগুলো রাশিয়া থেকে গ্যাস কিনছে। কিন্তু উন্নয়নশীল দেশগুলো কেন সেখান থেকে সার কিনতে পারবে না? অর্থনৈতিক ও উৎপাদনমূলক কর্মকাণ্ডে নিষেধাজ্ঞা দেয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করেন ড. আব্দুর রাজ্জাক।

তিনি জানিয়েছেন, কৃষিক্ষেত্রে অবদানের জন্য প্রথমবারের মতো ১৩ জনকে এআইপি (কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) সম্মাননা প্রদান করছে সরকার। প্রথমবার ১৩ জন এ পুরস্কার পাচ্ছে।

জানানো হয়, ২০১৯ সালে এআইপি নীতিমালা প্রণয়ন করা হলেও করোনার কারণে এই পুরস্কার প্রদান করা সম্ভব হয়নি। ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষেত্রে সিআইপি কার্ডধারীদের মতো এআইপি পদক প্রাপ্তরাও একই ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাবেন। এআইপি কার্ডের মেয়াদ হবে এক বছর। ২০২০ সালের জন্য কৃষি উদ্ভাবন বিভাগে ৪ জন, কৃষি উৎপাদন বা বাণিজ্যিক খামার স্থাপন ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প বিভাগে ৬ জন, স্বীকৃত বা সরকার কর্তৃক রেজিস্ট্রিকৃত কৃষি সংগঠন বিভাগে ১ জন এবং বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কারে স্বর্ণপদক প্রাপ্ত বিভাগে ২ জন এআইপি পদক পাচ্ছেন।

৫টি বিভাগে এআইপি পুরস্কার দেয়া হবে সর্বোচ্চ ৪৫ জনকে। প্রথমবার পুরস্কার দেয়ার কারণে এবার পুরস্কার প্রাপ্তের সংখ্যা কম। ২০২১ সালের এআইপি নির্বাচনের কাজও এরইমধ্যে শুরু হয়েছে।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply