চলতি বছর অর্ধেকে নেমে আসবে বিশ্বের জিডিপির প্রবৃদ্ধি: আইএমএফ

|

বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে সুখবর দিচ্ছে না আইএমএফ। পূর্বাভাস, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অনিশ্চয়তা চলবে ২০২৩ সাল পর্যন্ত। চলতি বছর অর্ধেকে নেমে আসবে বিশ্বের জিডিপির প্রবৃদ্ধি।

সংস্থাটির প্রধান অর্থনীতিবিদের দাবি, জটিলতা এড়াতে খরচের লাগাম টেনেছে বেশিরভাগ দেশ। এর ফলে, পণ্যের চাহিদা ও যোগানে ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে। এভাবে চললে বিশ্বে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের দামামায় বিপাকে পুরো বিশ্ব। মানবিক সংকট তো আছেই। সংঘাতের কারণে বিশ্বের শস্যভাণ্ডার খ্যাত ইউক্রেন থেকে এখনও খাদ্য রফতানি বন্ধ। কৃষ্ণ সাগরে চলছে না কোনো বাণিজ্যিক জাহাজ। ফলাফল, অনেক দেশে জ্বালানি তেল ও খাদ্যের সংকট। উন্নত দেশে চরমে পৌঁছেছে পণ্য ও সেবার দাম।

মঙ্গলবার রাতে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক প্রকাশকালে বিশ্ব অর্থনীতিকে এভাবেই বর্ণনা করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল- আইএমএফ। বলছে, খরচ সামলাতে সুদের হার বাড়াচ্ছে বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে বড় ধাক্কা খাওয়ার পথে শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ।

আইএমএফের মতে, চলতি বছরে যুক্তরাষ্ট্রে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৭ থেকে দুই দশমিক তিন শতাংশে নামবে। ৫ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি কমবে চীনে। ইউরো অঞ্চলে সেই হার হবে ২ দশমিক ৬ শতাংশ। সে হিসাবে কিছুটা ভালো অবস্থানে প্রতিবেশী ভারত।

আইএমএফের প্রধান অর্থনীতিবিদ পিয়েরে অলিভার গ্রিনচেস বলেন, সবাই যখন কোভিডের ধাক্কা সামলে উঠছে, তখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিষণ্নতা তৈরি করছে। এ কারণে সারা বিশ্বে জিডিপির প্রবৃদ্ধি কমে ৩ দশমিক ২ শতাংশ হবে। ২০২৩ সালে তা আরও কমবে। তাই অনুন্নত দেশ তো বটেই, অনিশ্চয়তার পথে হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ আর চীনও।

ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে আইএমএফ জানায়, সারা বিশ্বে রফতানি পণ্যের চাহিদা কমে গেছে। তার ওপর ডলারের বিপরীতে স্থানীয় মুদ্রার দাম কমায়, বেড়েছে আমদানি খরচ। এর ফলে উন্নত বিশ্ব তো ধাক্কা খাবেই। আসিয়ানের অন্তর্ভুক্ত ভিয়েতনামের মতো স্থিতিশীল অর্থনীতির দেশও ২০২৩ সালে হোঁচট খাবে।

আইএমএফের গবেষণা প্রধান ড্যানিয়েল লি বলেন, ভ্যাকসিন কার্যক্রম ও শক্তিশালী শ্রম বাজার ভালো দিনের ইঙ্গিত দিচ্ছিল। কিন্তু যুদ্ধ সে সম্ভাবনা নষ্ট করেছে। সারা বিশ্বে রফতানি কমেছে। চাহিদা নেই পর্যটনের মত সেবার। মুদ্রার বিনিময় দর ভোগাচ্ছে প্রায় সব দেশকে। এভাবে চললে মূল্যস্ফীতি ধরে রাখা কঠিন হবে। আইএমএফের আশঙ্কা, রাশিয়া থেকে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ কমলে বিপর্যয় আরও বাড়বে।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply