চুয়াডাঙ্গায় ব্যাটারিচালিত যানবাহনের আধিক্য, খরচ হচ্ছে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ

|

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে নির্দেশনা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না ব্যাটারিচালিত যানবাহনের ক্ষেত্রে। চুয়াডাঙ্গার ৪ উপজেলায় শুধু ইজিবাইকই রয়েছে অন্তত ১০ হাজার। ব্যাটারিচালিত অন্যান্য যানবাহনের সংখ্যাও কম নয়। বিদ্যুৎ নির্ভর এসব হাজার হাজার যানবাহন প্রতিদিন উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে। যদিও এসব বাহনের চালকদের দাবি, সকল শর্ত মেনেই বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন তারা।

টোবাইক শ্রমিক কল্যাণ সোসাইটির তথ্য বলছে, চার উপজেলা মিলিয়ে ইজিবাইক চলে অন্তত ১০ হাজার। এছাড়া ব্যাটারি চালিত পাখিভ্যান ও অটোরিকশার সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার। এসব বাহনের মূল চালিকাশক্তি বিদ্যুৎ। একটি গাড়ির ব্যাটারি চার্জ হতে কেটে যায় দিনের প্রায় অর্ধেক সময়।

বিদ্যুৎ বিভাগের পর্যবেক্ষণ বলছে, প্রতিদিন গড়ে একটি ইজিবাইকের জন্য ১০-১২ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যয় হয়। সে হিসাবে ১৫ হাজার গাড়ির জন্য প্রতিদিন খরচ হচ্ছে দেড় লাখ ইউনিট বিদ্যুৎ। মাস শেষে যা শঙ্কার বার্তা।

তবে ইজিবাইক চালকদের দাবি, সকল শর্ত মেনেই বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করছেন তারা। টোবাইক শ্রমিক কল্যাণ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম সাজু বলেন, আমরা বৈধভাবে বিদ্যুৎ নিই এবং বিল পরিশোধ করি। সরকারকে বলতে চাই, আমরা জনগণের সেবা দিই। তাই এই সেবামূলক কাজে যেনো আমাদের কোনো বাধা না আসে।

এ নিয়ে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো. সালাহউদ্দীনের মতে, ছোট্ট এলাকার ১৫ হাজার ব্যাটারিচালিত যানবাহন অপ্রয়োজনীয়। এতে বিদ্যুতে ঘাটতি তৈরি হতে পারে। তাই বিদ্যুৎ খরচ কমাতে বিকল্প পন্থা অনুসরণ করা প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply