ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের তিনটিতেই পরাজিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের তিন প্রার্থী। এর মধ্যে আড়পাড়া ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জামানত খুইয়েছেন।
বুধবার (২৭ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে ৪টা পর্যন্ত তিন ইউপিতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ভোটগ্রহণ চলে। পরে ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
আড়পাড়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সাদিকুর রহমান (মোটরসাইকেল) দুই হাজার ৭৬২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র আরেক প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. বদরুজ্জামান বাবু (ঘোড়া) পেয়েছেন দুই হাজার ২৬৭ ভোট। এই ইউনিয়নের মোট নয়জন প্রার্থীর মধ্যে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. আরমান হোসেন বাবু সপ্তম হয়ে জামানত খুইয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন মাত্র ২২১টি।
ডুমাইন ইউনিয়নে মোট দুইজন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সেখানে (আনারস) প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য আসাদুজ্জামান তিন হাজার ৮৫১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান জেলা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. খুরশিদ আলম (নৌকা) পেয়েছেন তিন হাজার ২৩৬ ভোট।
মেঘচামী ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী (চশমা) মো. সাবিরউদ্দিন শেখ। তিনি পেয়েছেন চার হাজার ৪৭৪টি ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাসান আলী খান (নৌকা) পেয়েছেন দুই হাজার ৬২৮ ভোট।
এ বিষয়ে মধুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড. আলিউজ্জামান খোকন বলেন, আড়পাড়া ইউনিয়নে জামাত-বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। অপরদিকে আমাদের প্রার্থী নতুন ও বয়সে তরুণ। এছাড়াও যিনি নির্বাচিত হয়েছেন তিনিও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত।
ফরিদপুর জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গৃহীত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগের কম ভোট পেলে সেই প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। নির্বাচন কমিশন আইনে সেটাই বলা হয়েছে। আড়পাড়া ইউনিয়নে মোট ভোটার ১০৩৮২, ভোট গৃহীত হয়েছে ৮১৯৫। গৃহীত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ ১০২৪ ভোট। সেই হিসেবে আড়পাড়া ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন বলা যায়।
জেডআই/
Leave a reply