হিরো আলমের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়াকে কেন্দ্র করে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়ায়

|

আলোচিত হিরো আলম (ফাইল ছবি)।

হিরো আলমের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়াকে কেন্দ্র করে তোলপাড় নেট দুনিয়া। ভুল সুর আর উচ্চারণে বিভিন্ন ধরনের গান গাইলেও নজরুল গীতি ও রবীন্দ্র সঙ্গীতের কারণে আইনি ব্যবস্থা নেয়াকে বাড়াবাড়ি মনে করছেন অনেকে। এমনকি এ ঘটনাকে সাংস্কৃতিক মৌলবাদ হিসেবেও আখ্যা দিয়েছেন কেউ কেউ। গান গাওয়ায় কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াকে ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলেও মনে করছেন তারা।

কখনও লোকসঙ্গীতের রিমেক আবার কখনও আধুনিক গান; বিভিন্ন সময়ই নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এভাবে গান প্রচার করেছেন হিরো আলম। এমনকি তার ইউটিউব ট্র্যাক লিস্ট থেকে বাদ যায়নি বিশ্বখ্যাত জনপ্রিয় ইংরেজি গানও। আছে আরবি এমনকি রেকর্ড গড়া সিংহলি গানও।

এসব গানের প্রতিক্রিয়ায় হাসাহাসি করেছেন নেটিজেনরা, উঠেছে নিন্দার ঝড়। ফেসবুক কিংবা ইউটিউবে হিরো আলমের প্রতিটি কন্টেটের নিচে প্রশংসার চেয়ে সমালোচনার তির্যক মন্তব্যই চোখে পড়ে বেশি। আর তাকে ট্রলিং যেন পেয়েছে অন্য মাত্রা।

তবে, মুচলেকাকাণ্ডের পর, আবারও হিরো আলম ইস্যুতে উত্তেজনার পারদ চড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অনেক বিশ্লেষক, সাংবাদিক আর লেখক প্রশ্ন তুলেছেন, এতো ভাষার, এতো ধরনের গান গাইলেও শুধু রবীন্দ্র সংগীতের জন্য কেন আইনি জটিলতের মুখে পড়তে হলো হিরো আলমকে?

আবার এ ঘটনাকে কেউ কেউ বলছেন যে, এটি ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ। কারও মতে এটি রবীন্দ্র অনুরাগীদের বাড়াবাড়ি। কেউ কেউ রবীন্দ্র সঙ্গীত ইস্যুতে হিরো আলমের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়াকে রীতিমতো মৌলবাদী আচরণ হিসেবেও আখ্যা দিয়েছেন।

অন্যদিকে, ব্যতিক্রম চিত্রও রয়েছে। সঠিকভাবে সুর উপস্থাপন না করায় হিরো আলমের সমালোচনাও করেছেন অনেক নেটিজেন। তবে এ ধরনের সিদ্ধান্ত মুক্ত সংস্কৃতি চর্চার পথ রুদ্ধ করবে কি না, দেখা দিয়েছে সে প্রশ্নও।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply