বরিশালে নৌ ও আকাশপথে যাত্রীসঙ্কট, যা বলছেন সংশ্লিষ্টরা

|

ফাইল ছবি

টিকিটে মূল্য ছাড় চলছে ঢাকা-বরিশাল নৌ ও আকাশ পথে। তবুও আগের মতো মিলছে না যাত্রী। অনেকের মতে, বিভিন্ন সময় নানা অজুহাতে যাত্রীদের জিম্মি করে ভাড়া বাড়িয়ে নিয়েছে লঞ্চ মালিকরা, সুযোগ নিয়েছে এয়ারলাইন্সগুলোও। তাই পদ্মা সেতু চালুর পর জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে নিরব প্রতিশোধ নিচ্ছেন যাত্রীরা।

আকাশ পথে বরিশাল থেকে রাজধানীতে পৌঁছুতে সময় লাগে মাত্র ২৫ মিনিট। তাই জনপ্রিয় হয়ে উঠে ঢাকা-বরিশাল আকাশপথ। ঢাকা-বরিশাল রুটে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করে বাংলাদেশ বিমান, ইউএস বাংলা ও নভোএয়ার। তবে পদ্মা সেতু চালুর পর আকাশপথেও যাত্রী সংখ্যা নেমে এসেছে ২০ থেকে ৩০ শতাংশে। ১ আগষ্ট থেকে নিয়মিত ফ্লাইট স্থগিত ঘোষনা করেছে নভোএয়ার।

এ ব্যাপারে হলিডে টুর এন্ড ট্রাভেলসের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বাশার বলেন, আগে যে পরিমাণ যাত্রী ছিল এখন সে সংখ্যা ২০ শতাংশে নেমে এসেছে। প্রায়ই নভোএয়ারের ফ্লাইট বাতিল করতে হচ্ছে, তারপরেও যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান তিনি।

যাত্রী ধরে রাখতে সর্বনিম্ন সাড়ে ৪ হাজার টাকার ভাড়া কমিয়ে, সাড়ে ৩ হাজার করেছে বেসরকারি এয়ারলাইন্স। ৫শ’ টাকা কমিয়ে বিমানের ভাড়া ৩ হাজার। যাত্রীদের অভিযোগ, রাজধানী থেকে অভ্যন্তরীণ যেসব রুটে বিমান চলে, তার মধ্যে বরিশালের দূরত্ব সবচেয়ে কম। অথচ ভাড়া গুনতে হচ্ছে সবচেয়ে বেশি।

এ নিয়ে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের এক্সিকিউটিভ এসএম আসাদুজ্জামান বলেন, যাত্রীদের যাতে প্রেশার না হয় তাই সাড়ে ৪ হাজার টাকার টিকেটের দাম কমিয়ে সাড়ে ৩ হাজার করা হয়েছে।

এদিকে, লঞ্চের ভাড়া কমিয়ে সিঙ্গেল ৮শ’ থেকে ১ হাজার আর ডাবল কেবিন করা হয়েছে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত। এরপরও অবিক্রিত থাকছে বেশিরভাগ টিকিট। তাই রোটেশনের মাধ্যমে ঢাকা-বরিশাল দুই প্রান্ত দিয়ে ৩-৪টি লঞ্চ পরিচালনার কথা ভাবছেন মালিকরা।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ চলাচল সংস্থার পরিচালক মঞ্জুরুল আহসান ফেরদৌস বলেন, যাত্রীরা যেনো লঞ্চমুখী হন সেজন্য সরকারি ভাড়ার চেয়েও কম ভাড়া নেয়ার চিন্তাভাবনা আছে। রোটেশন ছাড়া আমাদের এই ব্যবসা টিকিয়ে রাখা দুরূহ ব্যাপার।

এক দশক আগে আন্দোলনের মুখে রোটেশন প্রথা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছিল মালিকরা। রোটেশন চালু হলে আবারও আন্দোলনের কথা বলছেন নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দ। এ প্রসঙ্গে বরিশাল নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব ডা. মিজানুর রহমান বলেন, যদি রোটেশন প্রথা আবারও চালু করে এবং আমাদের যাত্রীরা যদি চাপে পড়ে তাহলে সেক্ষেত্রে দক্ষিণবঙ্গের জনগণ আবারও আন্দোলনের কথা ভাববে।

যাত্রী সঙ্কটের কারণে এরইমধ্যে দিবা সার্ভিস গ্রীন লাইন ওয়াটারওয়েজ বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

/এসএইচ



সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply