মাঝে মাঝেই হাতে ব্যথা? শরীরে মারাত্মক রোগের জানান দিচ্ছে না তো!

|

ছবি: সংগৃহীত

কার্ডিওভাসক্যুলার রোগের বিভিন্ন সূচক রয়েছে। এর মধ্যে উচ্চ কোলেস্টেরল অন্যতম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, কোলেস্টেরল বাড়লে হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। বিশ্বে ইস্কেমিক হৃদরোগের এক তৃতীয়াংশই উচ্চ কোলেস্টেরলের জন্য হয়। উচ্চ কোলেস্টেরল আরও বিপজ্জনক এই কারণে যে, এর লক্ষণ প্রকাশ পায় না। তাই একে নীরব ঘাতকও বলা হয়।

উচ্চ কোলেস্টেরল থাকার মানে কী:

কোলেস্টেরল হলো রক্তে উপস্থিত মোমযুক্ত পদার্থ। শরীরে সুস্থ কোষ তৈরির জন্য এটা প্রয়োজন। কিন্তু উচ্চ মাত্রার কোলেস্টেরল থাকলে রক্তনালীতে চর্বি জমতে শুরু করে। ফলে রক্তপ্রবাহ কমে যায়। কখনো কখনো এই চর্বি ভেঙে গিয়ে রক্ত জমাট বেঁধে যেতে পারে। তখনই হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক হয়। উচ্চ কোলেস্টেরল বোঝার কোনো লক্ষণ না থাকলেও কয়েকটা চিহ্ন দেখে এটা শনাক্ত করা যায়।

বাহুতে দু’ধরনের ব্যথা: ধমনীতে চর্বি জমে যাওয়ার ফলে হাত এবং পায়ে রক্ত প্রবাহ কমে যায়। এই অবস্থাকে পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ বলে। যার ফলে তীব্র ব্যথা হয়। এটা উচ্চ কোলেস্টেরলের লক্ষণ। লেখা বা অন্যান্য কাজ করার সময় ক্র্যাম্প ধরে যেতে পারে। ব্যথার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রক্রিয়াটাকে ক্লোডিকেশন বলা হয়। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসেস বলছে, এই ব্যথা হালকা থেকে গুরুতর হতে পারে। তবে বিশ্রাম নিলেই ঠিক হয়ে যায়।

হাতে ব্যথা মানেই উচ্চ কোলেস্টেরল নয়: উচ্চ কোলেস্টেরল ছাড়া আরও অনেক কারণে হাতে ব্যথা হতে পারে। বাহু এবং কাঁধে ব্যথা হার্ট অ্যাটাক এবং এনজিনার অন্যতম লক্ষণ। এছাড়া হাড়ে আঘাত, স্ট্রেন, মচকে যাওয়া কিংবা হাড় সড়ে গেলেও ব্যথা হতে পারে।

অন্যান্য সাধারণ লক্ষণ: হাতে ব্যথা ছাড়াও উচ্চ কোলেস্টেরল কিংবা পিএডির আরও কিছু লক্ষণ রয়েছে। সেগুলি হলো, পায়ে অসাড়তা বা দুর্বলতা, পায়ের চুল পড়া, ভঙ্গুর পায়ের নখ, ঘা না সাড়া, পায়ের ত্বকের রঙ বদলে যাওয়া এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে ইরেকটাইল ডিসফাংশন।

পরীক্ষা: এই লক্ষণগুলোর একটাও থাকলে রক্ত পরীক্ষা করিয়ে নেয়াই ভালো। এটাকে লিপিড প্যানেল বা লিপিড প্রোফাইলও বলা হয়। যা মোট কোলেস্টেরল, এলডিএল, এইচডিএল কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড- রক্তে এক ধরনের চর্বির সম্পূর্ণ রিপোর্ট দেয়। পরীক্ষার ৯ থেকে ১২ ঘণ্টা আগে থেকে পানি ছাড়া অন্য কিছু খেতে নিষেধ করা হয়। তবে নির্দিষ্ট কোলেস্টেরল পরীক্ষার জন্য না খেয়ে থাকার দরকার নেই। তাই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেয়া উচিত।
তথ্যসূত্র: নিউজ এইটিন
ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply