দক্ষিণ কোরিয়ায় আশঙ্কাজনক হারে কমতে শুরু করেছে জন্মহার। দেশটিতে দিন দিন বাড়ছে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা। সিউলের পরিসংখ্যান বলছে, গত ৭ দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন জন্মহার ছিলো ২০২১ সালে। যা আগের বছরের তুলনায় ৯১ হাজার কম। এমন পরিস্থিতির জন্য জীবন-মানের ব্যয় বৃদ্ধিকে দায়ী করছেন অনেকে। বলছেন, অতিরিক্ত বাড়িভাড়া, লোনের বোঝাসহ নানা কারণে বিয়ে করতে আগ্রহ হারাচ্ছে অনেকে। এমনকি খরচের ভয়ে বাচ্চা নিতেও অনিহা রয়েছে।
আয়তনে ১ লাখ বর্গ কিলোমিটারের দেশ দক্ষিণ কোরিয়া। সেখানে জনসংখ্যা মাত্র ৫ কোটি ১৭ লাখ। তবে দিন যতো যাচ্ছে দেশটিতে ততোই কমছে জন্মহার। বলা হচ্ছে, ১৯৪৯ সালে দেশটিতে আদমশুমারি শুরুর পর সর্বনিম্ন জন্মহার ছিলো গেলো বছর।
২০২১ সালের তথ্য, সিউলে শিশুর জন্মহার কমেছে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ। যা ২০২০ সালের তুলনায় ৯১ হাজার কম। দেশটিতে কেনো এমন আশঙ্কাজনক হারে কমছে জন্মহার? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিমাত্রায় বেড়েছে জীবন-মানের ব্যয়। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় বোঝা মাত্রাতিরিক্ত বাড়িভাড়া। ২ থেকে ৩ রুমের ফ্ল্যাট, জায়গা ভেদে মিলছে স্থানীয় মূদ্রায় ৫ থেকে ১০ লাখে। এসব কারণে বিয়ে করতে চান না অনেক কোরিয়ান।
দক্ষিণ কোরিয়ার কনটেন্ট এডিটর সেইন্না হং বলেন, বিভিন্নভাবে বিজ্ঞাপণের মাধ্যমে চেষ্টা চলছে বিয়েতে তরুণদের আগ্রহী করে তোলার। তবে কোনো কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। সবকিছুর ব্যয় অস্বাভাবিক হাতে বৃদ্ধি পেয়েছে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে বাসাভাড়া। এছাড়া লোন করে চলতে হচ্ছে বহু পরিবারকে। তাই বিয়ে বা সন্তান জন্ম দেয়ার মতো চিন্তা থেকে বের হয়ে যাচ্ছেন অনেকে।
যেসব মানুষ বিয়ে করছেন তারাও খরচ মেটাতে চলছেন এক সন্তান নীতিতে। বলা হচ্ছে, ২০২৫ সাল নাগাদ দেশটিতে প্রবীণের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে। এখনই ৬৫ বছর বা তার বেশি মানুষের সংখ্যা দেশটির মোট জনগোষ্ঠীর ২০ শতাংশ।
/এসএইচ
Leave a reply