পঞ্চগড়ে চা চাষে নীরব বিপ্লব, অপার সম্ভাবনার হাতছানি

|

ছবি: সংগৃহীত

গত বিশ বছরে সমতল ভূমিতে চা চাষে পঞ্চগড় এখন দেশের চা উৎপাদনকারী জেলা হিসেবে দ্বিতীয় স্থানে। এ শিল্পের কারণে জেলার অর্থনীতিতেও এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। শীঘ্রই পঞ্চগড়ে দেশের দ্বিতীয় চা নিলাম কেন্দ্র হবে বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা। তবে, কারখানা থেকে চা-পাতার ন্যায্য মূল্য না পাওয়ার অভিযোগ চাষীদের। সঠিক মূল্য আদায়ে টাস্কফোর্স গঠন করেছে পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসন।

বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও সিলেটের পর হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত পঞ্চগড় এখন চা উৎপাদনের জন্য আলোচিত। সীমান্তের পাশ ঘেঁষে সমতলে চা চাষ দেখে ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে পরীক্ষামূলকভাবে পঞ্চগড়ে চায়ের চাষ শুরু হয়। সফলতা আসলে ২০০০ সালে তেঁতুলিয়া উপজেলার সীমান্ত এলাকায় বেশ কিছু কোম্পানি বাণিজ্যিকভাবে পতিত জমিতে চা চাষ করতে শুরু করে। তখন থেকেই সমতল ভূমিতে বাড়তে থাকে চা চাষের পরিধি।

২০ বছর আগেও পঞ্চগড়ের মানুষ কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। এখন চা চাষে নীরব বিপ্লব ঘটেছে জেলায়।এটি অর্থনৈতিক উন্নয়নে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। অনেকের বাড়ির উঠোনেও হচ্ছে চা চাষ। এতে প্রত্যেক্ষ ও পরোক্ষভাবে লাভবান হচ্ছেন ৩০ হাজারের বেশি মানুষ।

জানা গেছে, ২০২১ সালে পঞ্চগড়ে ১ কোটি ৫০ লাখ কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে। কারখানা আছে ১৭ টি।এগুলোতে কাঁচা পাতা প্রতি কেজি ১৮ দরে কেনার কথা থাকলেও; ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। চায়ের ন্যায্য মূল্য নিয়ে কারখানা ও বাগান মালিক এবং চাষীদের নিয়ে জটিলতা নিরসনের কথা জানান পঞ্চগড় জেলা প্রশাসন।

পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম বলেন, আমাদের একটাই শ্লোগান যে ‘গুড লিফ গুড প্রাইস’। ভাল পাতা দিলে ভাল চা হবে, কারখানার মালিকরা ভালো দাম দিতে বাধ্য হবেন কারখানার মালিকরা। তবে এখন যে অভিযোগটা আসছে যে কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না; তাদেরকে ন্যায্য দেয়ার জন্য আগামী সপ্তাহে একটা মিটিংয়ের আয়োজন করা হয়েছে। এই মিটিংয়ে আমরা বসে চায়ের মূল্যের যে ব্যাপারটা তা গাণিতিকভাবে বিশ্লেষণ করে মূল্য নির্ধারণ করে দিবো বলে জানান তিনি।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply