তিন দিন পেরিয়ে গেলেও সিলেটে দুই ব্রিটিশ নাগরিকের মৃত্যুর কারণ জানতে পারেনি পুলিশ। ভিসেরা প্রতিবেদন ও বেঁচে যাওয়া নারী ও তার ছেলের জবানবন্দির অপেক্ষায় পুলিশ- বলে জানালেন পুলিশ সুপার। অন্যদিকে চিকিৎসাধীন ওই পরিবারের বাকি তিন সদস্যের মধ্যে সামিরা নামের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ওসমানী নগরে দুই ব্রিটিশ নাগরিকের মৃত্যর পর পেরিয়েছে ৭২ ঘন্টা। কিন্তু এখনও জানা যায়নি মৃত্যুর কারণ। স্বজন ও স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদেও মেলেনি কোনো ক্লু। চিকিৎসকরাও নিশ্চিত করেননি কোনো বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে কিনা। সব মিলিয়ে এখনও অনেকটাই অন্ধকারে পুলিশ।
সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা ঘটনাস্থলের আশেপাশেসহ ওই বাড়িতে ঢোকার রাস্তা, আশেপাশের রাস্তা ইত্যাদি জায়গা নিয়ে অ্যানালাইসিস করেছি কিন্তু কোথাও কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।
নিহত রফিকুল ও তার ছেলের মরদেহের ময়নাতদন্তে শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন মেলেনি। তবে, দুটি বিষয়ের জন্য অপেক্ষা করছে পুলিশ।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, যে তিনজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাদের রক্ত আর পাকস্থলী থেকে স্যাম্পল নেয়া হয়েছে। সবগুলো স্যাম্পল ক্যামিকেল অ্যানালাইসিসের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ওই পরিবারের বাকি তিন সদস্য এখনও চিকিৎসাধীন ওসমানী মেডিকেলে। রফিকুলের স্ত্রী ও অন্য ছেলে ঝুকিমুক্ত হলেও মেয়ে সামিরার অবস্থা এখনও শঙ্কটাপন্ন।
সিওমেকের সহকারী পরিচালক ডা: আবুল কালাম আজাদ, একটা কমিটি গঠন করা হয়েছে। কীভাবে তারা অসুস্থ হয়েছেন তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। আমাদের মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানসহ সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি দেখছেন বলে জানান তিনি।
সিওমেকের মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. শিশির রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, সামিরা ইসলাম নামের যে মেয়েটির অবস্থা আগের থেকে কিছুটা ভালো হলেও এখনও তাকে স্টেবল বলা যাচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) সিলেটের ওসমানীনগরের একটি ভাড়া বাসা থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার হয় ৫ বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ নাগরিককে। এরমধ্যে রফিকুল ইসলাম ও তার ছেলে মাইকুলকে উদ্ধারের পর মৃত ঘোষণা করেন দায়িত্বরত চিকিৎসকরা।
/এসএইচ
Leave a reply