অস্ট্রেলিয়ায় আরও বাড়তে পারে মূল্যস্ফীতির হার, এমন শঙ্কা জানিয়েছেন দেশটির অর্থনীতিবিদরা। একে তো ইতিহাসে দু’দশকের মধ্যে মূল্যস্ফীতির হার সর্বোচ্চ পর্যায়ে। অন্যদিকে, পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থাপনায় ঘাটতি এবং বিশ্ববাজারে জ্বালানির মূল্য ও সরবরাহ অস্থিতিশীল হওয়ায় অর্থনৈতিক সংকট বাড়বে আরও; এমন সতর্কতাই দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ট্রেজারি বিভাগ।
দেশটির অর্থ বিভাগ বলছে, বার্ষিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ১ শতাংশ। যা ২১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। গেল বছর যেখানে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫.১। খবর এপি’র।
অর্থনীতিবিদ সল অ্যাস্লেক বেলন, নানামুখী সংকটের ফলাফল এই মূল্যস্ফীতি। এরমধ্যে অন্যতম সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টের দুর্বলতা। পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থাপনায় ঘাটতির কারণে সব ধরেনর দ্রব্যের দাম বেড়েছে। যানবাহন থেকে শুরু করে খাদ্যশস্য কোনো কিছুই বাদ যায়নি। সবকিছুর দামই ঊর্ধ্বমুখী।
এ অবস্থায় অস্ট্রেলিয়ায় বেতন বৃদ্ধি হারের তুলনায় মূল্যস্ফীতি দ্বিগুণের বেশি। জুনে শেষ হওয়া প্রান্তিকে ভোক্তা মুল্যসূচক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১.৮ শতাংশে।
সল অ্যাস্লেক জানিয়েছেন, গেল বছর থেকেই সতর্ক করা হচ্ছিল খুব শিগগিরই বড় ধরনের অর্থনৈতিক ধাক্কার মুখে পড়বে অস্ট্রেলিয়ার মতো ধনী দেশগুলো। আসলে তাই-ই হতে চলেছে। একদিকে বেড়েছে পণ্যের দাম, অন্যদিকে কমেছে উৎপাদন। আর সেই সাথে বেকারত্ত্বের হারও বাড়ছে। ফলে আরও বাড়তে পারে মূল্যস্ফীতির হার।
অস্ট্রেলিয়ার সরকার বলছে, কর্তৃপক্ষ সচেষ্ট থাকলেও কিছু অনিবার্য পরিস্থিতির কারণেই সৃষ্টি হয়েছে অর্থনীতিতে এমন জটিলতা।
দেশটির ট্রেজারার জিম শ্যালমার্স ট্রেজারার বলেন, পূর্বাভাস কখনোই শতভাগ সফল হয় না। এখানে নানামুখী ঘাটতি থাকবেই। করোনার প্রকোপের কারণে বিশ্বজুড়ে যে ক্ষতি হয়েছে তার সরাসরি ক্ষতির শিকার হয়েছে আমাদের অর্থনীতি। কারণ আমাদের উৎপাদনের খাতের সাথে চীন সরাসরি জড়িত। সেই ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই এলো রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ। ফলে সব মিলিয়ে চাপের মুখে পড়েছে অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতি।
এমন পরিস্থিতি সামাল দিয়ে বড় পরিসরে সুদের হার বাড়ানোর আভাস দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
/এমএন
Leave a reply