মাটিতে লুটিয়ে পড়ে কাঁদছে কয়েক জন স্কুলছাত্রী, কেউ চিৎকার করছে, কেউ কেউ আবার অকারণেই দেয়ালে মাথা ঠুকছে। এমন দৃশ্য ভারতের উত্তরাখণ্ডের বাগেশ্বর জেলার এক সরকারি স্কুলের। শিক্ষার্থীদের দাবি, স্কুলে জিনের আছর পড়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে অভিভাবকরাও রীতিমতো পূজা শুরু করে দিয়েছেন ভূত তাড়াতে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) স্কুলটির কয়েকজন শিক্ষার্থী হঠাৎ করে কান্নাকাটি ও চিৎকার শুরু করে। এরপর ধীরে আরও অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর তাদের অভিভাবকদের খবর দিলে তারা ওঝা নিয়ে আসেন স্কুলে। এর কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। তবে বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) ফের একই ঘটনা শুরু হয়।
স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছে, অভিভাবকদের দাবি এই স্কুলে ভূতুড়েকাণ্ড ঘটছে। স্কুলের অন্ধকার ক্লাসরুমগুলো থেকেই ছাত্রীদের ‘ভূতে ধরছে’ বলে দাবি করছেন অভিভাবকরা। এখানে তারা রীতিমতো পূজা শুরু করে দেন। তবে শিক্ষার্থীদের চিকিৎসায় এরই মধ্যে চিকিৎসক ও মনোবিদের একটি দল স্কুলটি পরিদর্শন করেছেন।
Few students in a govt school in Bageshwar dist of #Uttarakhand on Wednesday suddenly started screaming and shouting. Some beleieve it's a "mass hysteria" phenomenon. A team of doctors will visit school today. pic.twitter.com/htsFjrcC0Y
— Anupam Trivedi (@AnupamTrivedi26) July 28, 2022
এটিই প্রথম নয়। দেরাদুনের শিক্ষা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মুকুল সতীর বলেন, একই ধরনের ঘটনার খবর চক্রতা এবং উত্তরকাশীর কয়েকটি স্কুল থেকেও এসেছে। আমরা একটি মেডিকেল টিম গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তারা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভয় কমানোর জন্য রাজ্য জুড়ে সরকারি স্কুলগুলো পরিদর্শন করবে।
তবে মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত গণআতঙ্কের কারণে এমনটা হচ্ছে। এক জনের থেকে অন্যদের মনে দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীরা ভাবছে, ওই স্কুলে জিন আছে। এগুলো তাদের ক্ষতি করবে। তবে এটা আসলে মনের ভুল। ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে এই ধারণা থেকে শিক্ষার্থীদের মুক্ত করা সম্ভব বলে মনে করেন তারা।
এসজেড/
Leave a reply