মোসাদ্দেকের ধ্বংসযজ্ঞের পর রাজার লড়াই; বাংলাদেশের লক্ষ্য ১৩৬ রান

|

ছবি: সংগৃহীত

জিম্বাবুয়ের ইনিংসের প্রথমার্ধ যদি হয় মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ঘূর্ণিতে বিধ্বস্ত হওয়া, তবে পরের অর্ধেকজুড়ে ছিল সিকান্দার রাজার সংগ্রামী ইনিংস। আর দুইয়ের মিশেলে ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান সংগ্রহ করেছে জিম্বাবুয়ে। জয়ের বিকল্প না থাকা এই ম্যাচে বাংলাদেশের টার্গেট ১৩৬ রান।

জিম্বাবুয়ের ইনিংসের শুরু থেকেই টানা বল করে গেছেন। ৪ ওভার বোলিংয়ের কোটা যখন শেষ করলেন, তখন নেই জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং অর্ডারের অর্ধেকই চলে গেছে প্যাভিলিয়নে। সবাইকে একার হাতে শিকার করে ৪ ওভারের বিধ্বংসী স্পেলে ১৫টি ডট বল দিয়ে ২০ রানে ৫ উইকেটের দুর্দান্ত বোলিং ফিগার গড়েন মোসাদ্দেক। আর তাতেই ভেঙে যায় জিম্বাবুয়ে ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড।

তবে এরপর আর বোলিং ইউনিটের অন্যান্যরা পারেননি এই ধারা টেনে নিতে। উল্টো গত ম্যাচের নায়ক সিকান্দার রাজা এ ম্যাচেও আবির্ভূত হন ত্রাতার ভূমিকায়। ৩১ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর রায়ান বার্লকে নিয়ে রাজা গড়েন ৮০ রানের সংগ্রামী জুটি। হাসান মাহমুদের বলে প্লেইড অন হয়ে ব্যক্তিগত ৩২ রানের মাথায় বার্ল ফেরেন সাজঘরে। এরপরও লড়াই চালিয়ে যান সিকান্দার রাজা। মোস্তাফিজুর রহমানের স্লোয়ারে আউট হওয়ার আগে তিনি খেলেন ৫৩ বলে ৬২ রানের দারুণ এক ইনিংস। জিম্বাবুয়ে ইনিংসে এই দুই ব্যাটারের সাথে কেবল লুক জঙ্গিই ছুঁয়েছেন দুই অংকের ঘর।

মোসাদ্দেক ছাড়া বাংলাদেশের অন্য বোলাররা এই ম্যাচেও সামর্থ্যের শতভাগ ঢেলে দিতে পারেননি। শরিফুল-মোস্তাফিজদের ব্যর্থতা একাই ঢেকে দিয়েছেন মোসাদ্দেক। এবার পালা ব্যাটারদের।

আরও পড়ুন: মোসাদ্দেকের ফাইফার: ভেঙে গেল জিম্বাবুয়ে ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply