চার-ছয় কোন জায়গা দিয়ে মারতে হবে সেটিই জানে না, খেলোয়াড়দের ধুয়ে দিলেন সুজন

|

খালেদ মাহমুদ সুজন। ফাইল ছবি।

জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে ২০৫ রান তাড়া করে হারে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৭ উইকেটে জিতে সিরিজে টিকে রইলেও তৃতীয়টিতে হেরে খোয়াতে হয় সিরিজ। এই ম্যাচে মাত্র ১৫৬ রানের লক্ষ্য অতিক্রম করতে পারেনি টাইগার ব্যাটাররা। বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত হতাশ জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। দলের খেলোয়াড়দের চার-ছক্কা মারার সক্ষমতা নিয়েও ব্যক্ত করেছেন ক্ষোভ।

আজ বুধবার (৩ আগস্ট) যমুনা টেলিভিশনকে মোবাইল ফোনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সুজন বলেছেন, জিম্বাবুয়ের এই দলের কাছে হারা সত্যিই হতাশাজনক। আমরা আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। ম্যাচে ১০ ওভারের পর কিভাবে ব্যাটিং করতে হয় সেটিই আমাদের খেলোয়াড়েরা জানে না। চার-ছয় কোন জায়গা দিয়ে মারতে হবে সেটিও জানে না তারা।

সুজন বলেন, দলে সিনিয়র ক্রিকেটাররা নেই এটি খুবই বাজে কথা। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ তো খেলেছেনই। ১৫৬ রান তাড়া করা এই বোলিংয়ের বিরুদ্ধে কঠিন কিছুই ছিল না। দলের সব খেলোয়াড়ের স্ট্রাইকরেটই খারাপ। পুরো দলই খারাপ করেছে। আমাদের খেলোয়াড়রা ছয় মারতে পারছে না আর ওরা বলে বলে ছয় মারছে। হতে পারে ওদের হোম কন্ডিশন। কিন্তু উইকেট তো ভালো।

নিজের জায়গা নিশ্চিত করতেই টাইগার ব্যাটারদের আপ্রাণ চেষ্টা? এমন প্রশ্নে সুজনের উত্তর, হয়তোবা তাই। ভেবেছিলাম আমাদের খেলোয়াড়রা ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলবে। কিন্তু সেটি হয়নি। দ্বিতীয় ম্যাচে আমরা যেভাবে খেলেছি সেটি ক্লিনিকাল। প্রথম ম্যাচে ২০৫ রান তাড়ায় ওরা চেষ্টা করেছে। ইটস ফাইন। কিন্তু তাই বলে ১৫৬ রান তাড়া করতে পারবো না! খেলোয়াড়দের মধ্যে আগ্রাসী কোনো মনোভবই নাই। কেউই ফেয়ারলেস না। তাহলে তো বোঝাই যায়, নিজের পজিশন টেকানোর জন্য খেলা হচ্ছে।

কোচিং স্টাফের কোনো দায় আছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে সুজন বলেন, এক ফোঁটাও দায় নেই। তারা কী করবে। তারা কি খেলে দিয়ে আসবে নাকি? খেলোয়াড়রা তো নবীন না। তারা ন্যাশনাল প্লেয়ার। শান্ত-আফিফ কেউই তো ছোট না। একমাত্র আফিফ ছাড়া ম্যাচে কারো জয়ের ক্ষুধা দেখলাম না।

রিয়াদকে তৃতীয় ম্যাচে হঠাৎ দলে ভেড়ানোর বিষয়ে জাতীয় দলের এই ডিরেক্টর বলেন, দলে রিয়াদকে ফেরানো টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত। কোচ কিংবা একক কারো সিদ্ধান্ত না।

তরুণদের দেখার কথা বলে রিয়াদকে আবার দলে ফেরানো কেন? এর উত্তরে সুজনের ভাষ্য, রিয়াদের অন্তর্ভুক্তি সোহানের কারণে হয়েছে। সোহান না থাকায় মিডলে কোনো ব্যাটার ছিল না। সোহানের বদলে কাকে নিচে খেলানো যেত? মুনিম শাহরিয়ার কিংবা পারভেজ হোসাইন ইমন তো কখনো মিডলে খেলেইনি!

তবে এশিয়া কাপে রিয়াদের ভবিষ্যৎ কি হবে সেটা নিয়ে পরিষ্কার কোন উত্তর দিতে পারেননি সুজন। বলেছেন, এটা এখনো প্রশ্নের ব্যাপার। অনেকেই ঘরোয়া লিগে ভালো খেলছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো করছে না। সৌম্য কিংবা নাইমও তো ফর্মের কারণেই বাদ পড়ছে। তাহলে খেলোয়াড় পাব কই? তাই ভালো-মন্দ মিলিয়েই আমাদের দল গঠন করতে হবে।

জেডআই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply