রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে বাড়ছে ড্রোনের ব্যবহার

|

ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বাড়ছে ড্রোনের ব্যবহার। পশ্চিমাদের সহায়তায় অত্যাধুনিক সব ড্রোন কিনছে ইউক্রেন। একই সাথে রাশিয়াও ড্রোন হামলা চালাচ্ছে ইউক্রেনের বিভিন্ন ঘাঁটিতে। যুদ্ধে সামরিক ও বেসামরিক প্রাণহানি কমাতেই মানুষের বদলে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াচ্ছে দেশ দুটি। খবর বার্তা সংস্থা এপির।

পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে চললেও রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ নেই। তাই যুদ্ধক্ষেত্রে কৌশলে নানা পরিবর্তন আনছে দু’দেশই। সৈন্যের বিকল্প হিসেবে যুদ্ধের ময়দানে বাড়ছে ড্রোনের ব্যবহার। ভিডিও গেমের মতোই ঘরে বসে কন্ট্রোলার ব্যবহার করে শত্রুকে ঘায়েল করছে দুই দেশের সৈন্যরা।

ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়তে কিংবা কামান দাগার জন্য নিশানা ঠিক করতে ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। শত্রুঘাটিতে ঝুঁকিপূর্ণ অপারেশনে কমেছে স্পেশাল কমান্ডোদের ব্যবহার। মানুষবিহীন এসব আকাশ যান ব্যবহারে যুদ্ধে কমছে সামরিক ও বেসামরিক প্রাণহানি।

ইউক্রেনের ড্রোন ডেভেলপার ওলেকজ্যান্ডার চেন্দেকোভ বলেন, অবশ্যই মানুষের জীবনের চেয়ে চালকবিহীন এসব আকাশ যানের মূল্য বেশি নয়। এসব প্রযুক্তির কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। এমন অনেক কিছুই এগুলো দিয়ে করতে পারছি যা একজন মানুষের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

ড্রোন কিনতে রীতিমতো ক্যাম্পেইন করে অর্থ সংগ্রহ করছে ইউক্রেন। এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশ ও ব্যক্তির কাছ থেকে ২০ মিলিয়ন ডলার সহায়তাও পেয়েছে দেশটি। এসব অর্থে ম্যাট্রিস মাল্টিকপ্টার, ফ্লাই আই, ওয়ারম্যাটের মতো ড্রোন কেনার চুক্তি করেছে তারা। এছাড়া চারশ’ জনকে দেয়া হয়েছে ড্রোন চালানোর প্রশিক্ষণ।

ইউক্রেনের সেনা কর্মকর্তা লিওনিড জানান, শত্রুপক্ষকে ধ্বংস করতে আমাদের ড্রোনসহ অত্যাধুনিক আরও যন্ত্র দরকার। প্রতিটি হাইমার্সের জন্যই অন্তত ১০টি ফ্লাই আই ড্রোনের প্রয়োজন আমাদের।

যুদ্ধের ময়দানে অত্যাধুনিক সব ড্রোন ব্যবহার করছে রাশিয়াও। অন্যদিকে ড্রোন হামলা থেকে বাঁচতেও ব্যবহার বেড়েছে অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তির।
আরও পড়ুন: মাকড়সা পোড়াতে গিয়ে দাবানল, গ্রেফতার যুবক
ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply