সিরাজগঞ্জের চৌহালী কৃষি অফিস যেন দুর্নীতির আখড়া। ভাঙন কবলিত হওয়ায় একের পর এক ভুয়া মাস্টার রোল তৈরি করে প্রকল্পের মোটা অঙ্কের অর্থ উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। তালিকায় রয়েছে একাধিক মৃত ব্যক্তির নাম। অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস উপ-পরিচালকের।
কৃষিকাজ চৌহালী উপজেলার মানুষের আয়ের বড় মাধ্যম। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অন্তত ১০টি প্রকল্পের আওতায় আছেন এসব মানুষ। এরমধ্যে রয়েছে প্রণোদনা, কৃষি পুর্ণবাসন, রাজস্ব প্রদর্শনী, মাঠ দিবস, সার ও বীজ সরবরাহসহ উন্নয়নমূলক আরও অনেক কিছুই। ২০২০-২১ ও ২০২২ অর্থবছর মিলিয়ে এ উপজেলায় বরাদ্দ হয় কোটি কোটি টাকা। তবে, অভিযোগ উঠেছে, চৌহালীতে প্রকল্পের সিংহভাগ মাস্টার রোলই ভুয়া। একাধিক মৃত মানুষের নামও উঠেছে তালিকায়।
মাস্টার রোলের দায়িত্বে ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এবং উপ-সহকারী। তবে, অনিয়ম যে হয়েছে তা তারা মানতে নারাজ তারা।
চৌহালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জেরিন আহম্মেদ বলেন, অভিযোগগুলো সবগুলো মিথ্যা, আমাদের কাছে সবগুলোর ছবি থাকে, ছবি আছেও। তারপরও যেহেতু আপয়ারা বললেন, আমি এটা অবশ্যই তদন্ত করে দেখবো।
বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরায় প্রথমে কথা বলতে রাজি হননি সিরাজগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক। পরে অবশ্য আশ্বাস দিলেন, তদন্তের।
সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক বাবলু কুমার বলেন, কোনো অফিসার যদি অনিয়ম কওরে থাকে তাহলে আমরা সেটা অবশ্যই তদন্ত করে দেখবো, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চয়ই নেয়া হবে।
চৌহালী উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফসানা ইয়াসমিন বলেন, সংশ্লিষ্ট দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানাবো। যে ব্যবস্থা নেয়ার দরকার তারা সেটি নিশ্চয়ই নেবেন।
চৌহালীবাসীও চাইছেন, দ্রুত তদন্ত হোক; বেরিয়ে আসুক আসল কাহিনী।
/এসএইচ
Leave a reply