ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় দেশটির শীর্ষ কমান্ডারসহ ১০ নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক। নিহতদের মধ্যে পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুও ছিল। শনিবার (৬ আগস্ট) এ হামলা চালায় ইহুদি দখলদার বাহিনী। তাদের দাবি, সন্ত্রাসী গোষ্ঠির সদস্যদের উপস্থিতির খবর পেয়েই এই হামলা চলোনো হয়েছিল। সংবাদ সংস্থা এপি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি হামলার জবাবে কয়েক ঘণ্টা পরই হামাসের পক্ষ থেকে রকেট ছোড়া হয়। হামাসের দাবি, ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে প্রায় ১০০টি রকেট ছুড়েছে তারা। তবে হামাসের ছোড়া রকেটে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা জানা যায়নি। এ ঘটনায় উপত্যকা জুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ নিয়ে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের ছোড়া রকেট গাজার বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবনে আছড়ে পড়ে। সেই সাথে কয়েকটি সামরিক ওয়াচটাওয়ারও ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় শীর্ষ কমান্ডারসহ ১০ জন নিহতের পাশাপাশি আহত হয়েছে অন্তত ৫৫ জন।
ইসরায়েলের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেলে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ বলেন, জঙ্গিদের অবস্থান সম্পর্কে শক্ত প্রমাণের ভিত্তিতেই এ হামলা চালানো হয়েছে। তিনি বলেন, গাজার ভূখণ্ড থেকে ইসরায়েলে যে কোনো ধরনের হামলার বিষয়ে এই সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে। ইসরায়েলের নাগরিকদের ক্ষতি করার চেষ্টা করা হলে সরকার হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। ইয়ার লাপিদ বলেন, ইসরায়েল গাজায় বৃহত্তর সংঘাতে আগ্রহী নয়, তবে একটি আঘাত হলেও তা সহ্য করা হবে না।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (১ জুলাই) রাতে পশ্চিম তীরে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী পিআইজের প্রধান বাসেম সাদিকে গ্রেফতার করেছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনের জেনিন এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার গ্রেফতারের পর পিআইজের পক্ষ থেকে ইসরায়েলকে হুমকি দেয়া হয়েছিল বলে দাবি ইহুদি দেশটির। এরই প্রতিক্রিয়া হিসেবে গাজায় অভিযান চালানো হয়েছে।
এসজেড/
Leave a reply