ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী ও নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও প্রাণহানির পরও নিউ মার্কেটের ফুটপাত দখল বন্ধ হয়নি। নামে-বেনামে ফুটপাত থেকে চলছে চাঁদাবাজি।
যমুনা টেলিভিশনের ক্রাইমসিনের অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রতিটি ফুটপাতে একজন করে লাইনম্যান আছেন। প্রতিদিন টাকা তুলে তা কলেজের কিছু নেতা-ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতা ও অসাধু পুলিশ সদস্যকে দেয়া হয়। তাদের ছত্রছায়ায় নিউ মার্কেটে চলছে রমরমা ফুটপাত বাণিজ্য। এতে ক্ষুব্ধ সাধারণ শিক্ষার্থী, পথচারী এমনকি নিউ মার্কেট দোকান মালিক সমিতিও।
সম্প্রতি যমুনা টেলিভিশনের উপস্থিতিতে তাড়াহুড়ো করে ফুটপাতের দোকান বন্ধ করতে থাকে দোকানদাররা। আর ক্যামেরা দেখে সেখানেই থাকা পুলিশ সদস্যরা দোকান বন্ধের তাগাদা দিতে থাকেন। যদিও তাদের দায়িত্ব ফুটপাত উন্মুক্ত রাখা।
ক্যামেরায় ছবি না দেখানোর শর্তে ফুটপাতের এক দোকানদার বলেন, সাধারণ মানুষ দিয়ে চাঁদা তোলা হয়। চাঁদা দিতে দিতে শেষ।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, কিছুদিন আগেও সশরীরে চাঁদার টাকা নিতে আসতেন নেতারা। এমনকি পুলিশও। কিন্তু এখন টেলিভিশন ক্যামেরা ও মোবাইল ক্যামেরার অধিক্য হওয়ায় কৌশল বদলেছেন তারা। প্রতিটি ফুটপাতে টাকা তোলার জন্য আছেন লাইনম্যান। যে কিনা নিজেও দোকানের মালিক। নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা তুলে সবাইকে ভাগ করে দেয়া হয়।
ফুটপাত দখল ও চাঁদাবাজি অব্যাহত থাকায় ক্ষুব্ধ ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। কলেজটির এক শিক্ষার্থী বলেন, ফুটপাত তো পথচারীদের জন্য। এটা সম্পূর্ণ উন্মুক্ত হোক। পথচারীরা নির্বিঘ্নে হাঁটাচলা করুক। কোনো দুর্ঘটনা না হোক, এটিই আমাদের প্রত্যাশা।
ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) এ টি এম মইনুল হোসেন বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আমরা এ বিষয়ে অবগত করেছি।
ফুটপাতের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে ক্ষতির মুখে নিউ মার্কেটের দোকান মালিকরাও। তাদের দাবি, হকারদের একটি নিয়মের মধ্যে এনে পুনর্বাসন জরুরি। পথচারীরা যেন নিবিঘ্নে হাঁটতে পারে তাই দখলমুক্ত ফুটপাত নিশ্চিত করা দাবি সকলের।
এদিকে, ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী ও নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার চার মাস পেরোতে চললেও হত্যা মামলার প্রধান সন্দেহভাজন ইমনকে গ্রেফাতার করতে পারেনি পুলিশ। ফলে চার্জশিট কবে দেয়া হবে জানা নেই কারও। এ বিষয়ে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে চান না আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ। সংঘর্ষের ঘটনায় ৫টি মামলা হলেও কোনো অগ্রগতি নেই।
/এমএন
Leave a reply