২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ইন্টারনেট বা সোসাল মিডিয়া ব্যবহার করে পণ্য বা সেবার ক্রয় বিক্রয়ের ওপর কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। এটাকে ভার্চুয়াল বিজনেস সেবা নামে সংজ্ঞায়ন করা হয়েছে এবং এই সেবার ওপর ৫ শতাংশ হারে কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে করে যারা ফেসবুক, গুগল এবং ইউটিউব ইত্যাদি ব্যবহার করে ব্যবসা করছে তারা করের আওতায় আসলো।
২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এই খাতে করারোপের প্রস্তাব করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, অর্থনৈতিক বিশ্বায়ন এবং ভার্চুয়াল ও ডিজিটাল অর্থনীতির বিকাশের কারণে আন্তঃসীমান্ত লেনদেনের ধরন ও আকারে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। আমাদের অর্থনীতি এখন অনেক বেশি উন্মুক্ত। ফলে কর পরিহার এর ঝুঁকিও বেশ বেড়েছে।
তিনি বলেন, ভার্চুয়াল ও ডিজিটাল লেনদেনের মাধ্যমে অনেক বিদেশি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে প্রচুর আয় করছে, কিন্তু তাদের কাছ থেকে আমরা তেমন একটা কর পাচ্ছিনা। ভার্চুয়াল ও ডিজিটাল লেনদেনের বিষয়টি তুলনামূলক নতুন বিধায় এসব লেনদেনকে করের আওতায় আনার মতো পর্যাপ্ত বিধান এতদিন আমাদের কর আইনে ছিল না।
আমি ভার্চুয়াল ও ডিজিটাল খাত যেমন- ফেইসবুক, গুগল, ইউটিউব ইত্যাদির বাংলাদেশে অর্জিত আয়ের উপর করারোপণের জন্য আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চার আলোকে প্রয়োজনীয় আইনী বিধান সংযোজনের প্রস্তাব করছি। এর ফলে আমাদের করের আওতা বাড়বে।
Leave a reply